muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

টিকার দাম জানাতে নারাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফলাও করে করোনাভাইরাসের টিকার দাম প্রচার করা হলেও টিকা কিনতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, জাতীয় সংসদে তা জানাতে চাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’–এর মাধ্যমে টিকা কেনায় সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। ’ এ সময় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই টিকা কেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে এখন পর্যন্ত কতজনকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং করোনার টিকা দিতে সরকারের কত টাকা ব্যয় হয়েছ- এমন প্রশ্ন করেছিলেন জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন।

এ ছাড়া সরকারি দলের সাংসদ আবুল কালাম আজাদও টিকা কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে, সেটি জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এসব প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে এই টিকা কেনা হয়েছে। ‘নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ এর মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে সংসদে খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

সরকারি দলের আরেক সাংসদ আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডোজ টিকার সংস্থান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত (১৩ নভেম্বর) ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৪ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫ হাজার ১৯০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

সংসদে টিকার দাম জানানো না হলেও গত ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়েছিল। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে (ওই সময় পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ ৩ হাজার টাকা হিসাবে মোট ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

Tags: