দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। এসব সমাবেশে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত ৮টায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকা, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল জানান, সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সুবিধামতো সময়ে আলোচনা সভা এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোরে সূর্যোদয় সময়ে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ১০টা ৩০ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, বিজয় র্যালি এবং আলোচনা সভা আয়োজন করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও জানান, সভায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন। সভায় খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়াও আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটিকে দায়িত্ব অর্পন করা হয়।