muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

তাড়াশে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ

তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তোশা ও দেশি পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর তাড়াশ উপজেলায় ৬হাজার ৭০হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে বিভিন্ন খেতে ভালোফলন হয়েছে। তবে পাট চাষিদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা।

চাষিরা বলছেন, ধার-দেনা করে চাষ করা হয়। তাই ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দেনা দাররা হানা দেয়। দাম কম হলেও দেনাদারের পাওনা পরিশোধ করার জন্য পাটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে হয় তাদের। যার ফলে ইচ্ছে থাকলেও কষ্টার্জিত ফসল থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পারে না কৃষকরা। এরপরেও ভাল ফলনে খুশি কৃষকরা।

মহেশরৌহালী গ্রামের পাটচাষি আরমান আলী দুই বিঘা, বিরল হালী গ্রামের শহিদুল হোসেন পাঁচ বিঘা, পংরৌহালী গ্রামের সোরহাব হোসেন ছয় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবার পাট ভালো হয়েছে। এরকম থাকলে মোটামুটি ভাল লাভই হবে।

সোরহাই রহমান নামের আরেক পাট চাষি বলেন, তাড়াশ, বিনোতপুর, মাগুরা, বারুহাষ, নওগাঁ ইউনিয়ন ও পৌর সভায় বেশিরভাগ এলাকায় পাট চাষ হয়। কিন্তু যখন চাষের জন্য বীজ বুনি তখন, পানির খুব সংকট থাকে। তার পরও পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে জমিতে যে পরিমান পাট হয়েছে আশা করি ফলনও ভালো হবে। তবে একবিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় ১৪-১৫হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় পাট উৎপাদন হয় ১২-১৪মণ। খরচখরচাবাদে ভালো টাকাই লাভ থাকে।

সুজন হোসেন নামে অন্য এক কৃষক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পাট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থকরী ফসল। কিন্তু আমরা যারা চাষি, তারা এই পাট চাষ করে তেমন লাভবান হই না। ধার-দেনা ও সুদে টাকা এনে চাষ করি। দাম বৃদ্ধির আগেই দেনা পরিশোধের জন্য পাট বিক্রি করে দিতে হয়। পাট চাষিদের বীজ ও সার কেনার জন্য যদি সরকার কিছু সহযোগিতা করত তাহলে চাষিরা খুবই লাভবান হত বলেন দাবি করেন তিনি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেজবুল জানান, উপজেলা আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায় পাট চাষ হয়েছে। ৬হাজার ১৭০হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। আমরা চাষিদের সব ধরনের কারিগরি পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।

Tags: