muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নতির প্রত্যাশা রুশ রাষ্ট্রদূতের

রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি চিটাগাং চেম্বার নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছেন। শনিবার (১১ জুন) দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সভা আয়োজিত হয়।

এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, রাশিয়ান ফেডারেশনের কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াসিম মাকসুদ, এপেক্স ফুডের পরিচালক মমিনউদ্দিন আহমেদ খান, এয়ার এরাবিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানেজার ইকরামুল কবির রিয়াজ ও বিএসআরএম’র হেড অব করপোরেট স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্রজেক্টস মো. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।

অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মো. ওমর ফারুক, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস. এম. তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র পরিচালক শারমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ২০১০ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুনমাত্রা পেয়েছে। যার ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাস কূপ খনন ইত্যাদি খাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ রয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা খাতেও সহযোগিতা অব্যাহত আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়া বাংলাদেশের কাছে এলএনজি ও ক্রুড অয়েল সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে। সার, গম ইত্যাদি পণ্য রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে রপ্তানি করা হয়। ২০২১ সালে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার।

‘বাংলাদেশ থেকে আরএমজির পাশাপাশি হিমায়িত মৎস্য ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে লজিস্টিকস, ব্যাংকিং চ্যানেল, ইত্যাদি সমস্যা বিদ্যমান যা উভয়দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে।’

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনা হয় যা ২০১৭ সালে উভয় সরকারের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিশন গঠনে চুক্তির মাধ্যম বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও কারিগরি খাতে সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেয়। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পণ্য বহুমুখীকরণ ও প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূরীকরণে এ চুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম খাদ্য পণ্য, গম ও সার সরবরাহকারী দেশ।

তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি এ অবস্থার উন্নয়নে ব্যবসা সহজীকরণ ও বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাশিয়ান ফেডারেশনের কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, রাশিয়া সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা সর্বদা কাজ করছি। এক্ষেত্রে বিদ্যমান যেকোনো সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত রয়েছে। তিনি এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অন্যান্য বক্তারা কাস্টম ক্লিয়ারেন্স সহজীকরণ, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, ব্যাংকিং চ্যানেল ও আকাশ পথে যোগাযোগ স্থাপন, নিয়মিত বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বিনিময়, বাংলাদেশে রাশিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি ও ইকুইপমেন্ট প্রদর্শনের আয়োজন, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, রাশিয়ান মার্কেটে প্রবেশ উপযোগী প্রশিক্ষণ ও গাইড, বাংলাদেশ থেকে শ্রম শক্তি রপ্তানি, স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা কেন্দ্র ও আধুনিক প্রযুক্তিতে সহযোগিতার ভিত্তিতে মেডিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদন, স্টোরেজ সুবিধা বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের জন্য ন্যূনতম এক বছরের মাল্টিপল ভিসা চালু করা, ব্লু ইকনোমি, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, ক্যাডেটদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রযুক্তি ও উন্নত কারিগরি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতের ওপর আলোচনা করেন।

Tags: