muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

মাদারীপুরে প্রেমিকা হত্যায় প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুরে ফরিদা বেগম নামের এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় ১৪ বছর পর প্রেমিক শহিদুল মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল মোল্লা মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদী গ্রামের মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে।

নিহত ফরিদা বেগম একই উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের আ. করিম কারীর মেয়ে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মহিষেরচর গ্রামের আ. করিম কারীর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে ফরিদা বেগমের (২২) সঙ্গে শহিদুল মোল্লার (২৫) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের ৬ মে শহিদুল মোল্লার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে নিখোঁজ হন ফরিদা। পরের দিন কালকিনি উপজেলার ধুয়াসা গ্রামের একটি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত ফরিদার ভাই হান্নান কারী বাদী হয়ে শহিদুল মোল্লাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে কালকিনি থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২২ জুন আসামি শহিদুল মোল্লাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী হান্নান কারী বলেন, ১৪ বছর পর আমার বোন ফরিদা বেগম হত্যা মামলার রায় পেলাম। আদালতের এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাই।

মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছি শহিদুল মোল্লা তার প্রেমিকা ফরিদা বেগমকে হত্যা করেছেন। তাই আদালত আসামি শহিদুল মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

Tags: