muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

তথ্য প্রযুক্তি

মোবাইলে জাতীয় সঙ্গীতের রিংটোন নিষিদ্ধ

mobile-ringtone
ঢাকা: মোবাইল ফোনে জাতীয় সঙ্গীত রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না মর্মে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মোবাইল অপারেটরগুলোর করা লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

এরআগে ২০০৬ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংগীত রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আইনজীবী অ্যাডভোকেট কালীপদ মৃধার দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে রিটের শুনানি শেষ করে হাইকোর্ট রিংটোন হিসেবে জাতীয় সঙ্গীতের ব্যবহার অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো লিভ টু আপিল দায়ের করলে চুড়ান্ত শুনানি করে আপিল বিভাগ আজ এ রায় দিলেন।

তবে হাইকোর্টের রায়ে যেখানে বলা হয়েছিল গ্রামীণ ফোন লিভার ইনস্টিটিট ও বাংলালিংক মোবাইল ফোন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড হসপিটালে ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান দেবে আপিল বিভাগ তা কমিয়ে ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছেন।

সোমবার আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাসুদ আহমেদ সাঈদ।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছিল, গ্রামীণ ফোন তাদের অনুদানের টাকা লিভার ইন্সটিটিউট, বাংলালিংক মোবাইল ফোন ন্যাশনাল ইনন্সিটিটিউড অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড হসপিটাল ও রবি জমা দেবে ন্যাশনাল ইনন্সিটিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালে।’

তবে রবির বিষয়ে আপিল বিভাগের দেয়া রায় স্পষ্ট করে বলতে পারেননি রিটকারীর আইনজীবী।

২০০৬ সালে দায়ের করা রিটে বলা হয়েছিল- ‘জাতীয় সঙ্গীত রুলস ১৯৭৮ এ বলা আছে জাতীয় সংগীত আমাদের দেশের সম্পদ, এটি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পদ নহে। কিন্তু মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, একটেল পরবর্তীতে (রবি) টেলিটক, সিটিসেল- এই অপারেটরগুলো রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করে গ্রাহকদের নিকট থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এটি জাতীয় সঙ্গীত রুলস ১৯৭৮-এর স্পষ্ট ভায়োলেশন।’

Tags: