muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

কারাগারে ঈদ করছেন যেসব ভিআইপি নেতা-কর্মীরা

jail
শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় এবারও কারাগারে ঈদ করছেন বিগত জোট সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জামায়াত ইসলামীর অনেক ভিআইপি নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে অনেক ভিআইপি পুরাতন এবং অনেকে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় কেউ আটক রয়েছেন আবার কাউকে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কারাগারে ঈদ কাটানো ভিআইপি নেতা হচ্ছেন- মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রভাবশালী নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি ২০১০ সাল থেকে পরিবারের বাইরে ঈদ করছেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু এবং দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সাজাভোগ করছেন। তিনি ১৫ বছর পরিবারের বাইরে ঈদ করছেন। এ ছাড়াও সরকার বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে কারাগারে আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুরের মেয়র এমএ মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সর্বশেষ কারাগারে গেছেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু। তা ছাড়াও দুর্নীতির মামলায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে আছেন। তবে নানা আলোচনার ইতি ঘটিয়ে মুক্তি মেলায় পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ পেলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে বিএনপির আরেক যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ আছেন ভারতের শিলংয়ে। অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। তাই অন্যান্য সময় পরিবার-পরিজন ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেও এবার দেশের বাইরে ঈদ করতে হচ্ছে তাকে।

চলতি বছরের শুরুর দিকের টানা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এদের কেউ ঢাকায় কেউ আবার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে।

সীতাকুন্ডে হরতালে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার মামলায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৯ ডিসেম্বর মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-ের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু ১৪ বছর কারাগারে আছেন।

অন্যদের মধ্যে গত ১১ জানুয়ারি মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন শামসুজ্জামান দুদু, ৩০ জানুয়ারি গুলশানের একটি বাসা থেকে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে অবরোধে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরা হচ্ছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি ২০১০ সালে পর থেকে পরিবারের বাইরে ঈদ করছেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের টানা ১৫ ঈদ এবং সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ১৪ ঈদ কারাগারে কাটছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদও এবার কারাগারে ঈদ কাটাবেন।

এ ছাড়াও গাজীপুরের মেয়র অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, রাজশাহীর বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফার জামিন না হওয়ায় তাদেরও এবারের ঈদে কারাগারেই কাটাতে হবে।

এদিকে, কারাগারে ঈদ করছেন জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মধ্যে সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক এমপি মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং মীর কাসেম আলী। তারা চারজনই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে আটক রয়েছেন।

কারাগারে আগেও ঈদ করেছেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় তাকে ২০১৪ সালের ১২মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।

গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নান গ্রেপ্তার হন গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে। অবরোধে গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এছাড়া কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমানসহ বেশ কয়েকজন ঢাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে।

তবে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদের দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

Tags: