মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠঃ রাজধানীর বাড্ডায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গামা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতা মারা যান। এরা হলেন, শামসু ও মানিক। এ নিয়ে বাড্ডায় নিহতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়ালো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান,
গুলিবিদ্ধরা মধ্যবাড্ডার আদর্শ লিংক রোডের পানির ট্যাঙ্কের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী এসে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে শামসু মোল্লাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ও মানিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গামা ও আব্দুস সালাম (৪৫) নামে আরও দু’জন আহত হন। তাদের মধ্যে আব্দুস সালামকে ঢামেক হাসপাতাল ও গামাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে গামা মারা যান।আহত আব্দুস সালামের অবস্থা অপরিবর্তিত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত শামসু মোল্লা ঢাকার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। অন্যজন মানিক(৪৫) স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান।
শুক্রবার সকালে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল জলিল জানান, হত্যাকারীদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে এবার রাজধানীতে শোক দিবস পালনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে বাড্ডা আওয়ামী লীগ স্থানীয় মাঠে কাঙালি ভোজের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ভোজের প্রস্তুতি চলছিল। এসময় মাঠে অবস্থানরত চারজন নেতাকে কতিপয় দুর্বৃত্ত উপর্যুপরি গুলি করে পালিয়ে যায়।স্থানীয় ঝুট ব্রবসা নিয়ন্ত্রণ আর প্রভাব বিস্তার নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে পুলিশের ধারনা। এলাকার চাঁদাবাজি ঝুট ব্যবসা ছাড়াও সম্প্রতি কোরবানির পশুর হাট নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। এ দ্বন্দ্বের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তিনজন খুনের ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি। এদিকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গামার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।