muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

পানি খেয়ে ২০০ পোশাক শ্রমিক অসুস্থ

gazipur-keya-graments-2
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ গাজীপুরে ক্যান্টিনে রাখা পানি খেয়ে কেয়া নিট কম্পোজিট নামে পোশাক কারখানার অন্তত দুইশ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ শনিবার গাজীপুরের কোনাবাড়ি শিল্প এলাকায় কেয়া নিট কম্পোজিট নামে পোশাক কারখানার সুয়িং সেকশনে কর্মরত অবস্থায় ওই শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন।

পরে পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ দেখিয়ে কাজ ফেলে কারখানা থেকে বেরিয়ে যান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. মোবারক হোসেন জানান, বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার ক্যান্টিনের পানি পান করার পর কয়েকশ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর দুইদিন পর শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো তারা কাজে যোগ দেন। সকাল ১০টার দিকে সুয়িং সেকশনের কিছু শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের মধ্যে অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করায়।
কারখানার সুয়িং অপারেটর মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে কারখানার কাজে যোগ দেন তারা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকদের অনেকেই একে একে অসুস্থ হতে থাকেন। এভাবে দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কোনাবাড়ি শরীফ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক খান মো. শরীফ জানান, পৌনে ১০টার দিকে ওই কারখানার শতাধিক অসুস্থ শ্রমিক তার হাসপাতালে আসে। অসুস্থ শ্রমিকদের লক্ষণ দেখে মাস হিস্টেরিয়া বলে তাদের মনে হয়েছে।
এদিকে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক পাঠান দাবি করেন, ঈদের আগে কর্তৃপক্ষকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলাতে একটি চক্র শ্রমিকদের ব্যবহার করছে। সকালে কার্ড পাঞ্চ করে ভেতরে ঢোকে। পরে অসুস্থ না হলেও ১০-১২ জন করে শ্রমিক অসুস্থতার ভান করে এবং অন্য শ্রমিকরা কারখানা ছুটি ও বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তৎপরতা চালায়।
এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে লে-অফ ঘোষণা করা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন জানান, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রসশাসক এসএম আলমের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি শনিবারই তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক, সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি এবং কেয়া পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপক।

Tags: