muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অপরাধ

শিশু রাকিব হত্যাকাণ্ড: মা-বোনসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

rakib
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ খুলনায় শিশু রাকিব (১২) হত্যা মামলায় আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এদিন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাকিবের মা লাকি বেগম ও বোন রিমিসহ আটজন সাক্ষ্য দেন। গত দুই দিনে এ নিয়ে এ মামলার মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। আগামীকাল মঙ্গলবার আরও সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা পৌনে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এঁদের মধ্যে ছিলেন রাকিবের মা লাকি বেগম, বোন রিমি, খালা রোকসানা আক্তার, শরীফ মোটরসের জমির মালিক সেলিনা রহমান, রাকিবের প্রতিবেশী সুজন শরীফ, খাদিজা বেগম, রাকিবের মাকে প্রথম সংবাদ দেওয়া প্রতিবেশী শহীদুল শেখ এবং খুলনার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুর্গাপদ বাউলিয়া। সূত্র আরো জানায়, আদালতে রাকিবের মা বলেন, প্রতিবেশী শহীদুলের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, রাকিবের পেট ফোলা এবং মেঝেতে ছটফট করছে। এ সময় রাকিব তাঁকে ওই দিনের ঘটনা বলে। বারবার সে বাঁচার জন্য আকুতিও জানায়।
আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষীরা তাঁদের শনাক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, ৫ অক্টোবর শুনানি শেষে মামলার তিন আসামি শরীফ মোটরসের মালিক মো. শরীফ, মিন্টু খান ও শরীফের মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের পর ১১ অক্টোবর থেকে টানা পাঁচ দিন সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা। গত ২৫ আগস্ট খুলনা মহানগর হাকিম আদালতে তিনজনকে অভিযুক্ত করে এবং ৪০ জনকে সাক্ষী রেখে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক কাজী মোস্তাক আহম্মদ। অভিযুক্ত তিনজন হলেন নগরের টুটপাড়া কবরখানার পাশের মোটরসাইকেল গ্যারেজ শরীফ মোটরসের মালিক মো. শরীফ, তাঁর সহযোগী মিন্টু এবং শরীফের মা বিউটি বেগম।
প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট বিকেলে মোটরসাইকেলের হাওয়া দেওয়া কমপ্রেসর মেশিনের পাইপ শিশু রাকিবের পায়ুপথে ঢুকিয়ে পেটে হাওয়া দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে তিনজনের নামে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Tags: