মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদু্যত্, পরিবহন, পলস্নী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি ও স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।
এডিবি’র সফররত ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাং আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সেৌজন্য সাক্ষাত কালে এ আশ্বাস দেন। সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন। এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এডিবি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে আনত্মঃআঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার আওতায় পারস্পরিক সংযুক্ত উপ-আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড ব্যবস্থায় সহযোগিতা করতে চায়।
তিনি বলেন, এছাড়াও আমরা বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা এবং বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে এই অঞ্চলে ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের অবকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য বৃদ্ধি করতে চাই। ওয়েনচাই ঝাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা এবং আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সবসময় সমর্থন করার জন্য এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি জমি রক্ষার লক্ষ্যে তঁার সরকার গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে, পাশাপাশি সরকার ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানোর জন্য কাজ করছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা শাক-সবজি ও মত্স্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পোল্ট্রি খাতেও সম্পৃক্ত হতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করবে।
বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য তাঁর সরকারের উন্মুক্ত বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিদু্যত্ ও জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং টেলিভিশনসহ বিভিন্ন খাতে তারা সাবলীলভাবে ব্যবসা করছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার জমি বরাদ্দ দিচ্ছে যেখানে বিনিয়োগকারীরা তাদের কলকারখানা নির্মাণ করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদষ্টো ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং সিনিয়র ইআরডি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।