মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
রোববার সকালে হত্যাকাণ্ডের পর রাতে বন্দর নগরীর পাঁচলাইশ থানার এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন।
সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে উঠিয়ে দিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরেই ও আর নিজাম রোডে কোপানোর পর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে।
পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত বাবুল আগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন। সম্প্রতি বদলি হলে তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিলেও দুই সন্তান ও স্ত্রী চট্টগ্রামেই ছিলেন।
চট্টগ্রামে জঙ্গি দমনে বেশ কিছু অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল। এই কারণে তার স্ত্রী খুনের পেছনে জঙ্গিদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং নিহতের ছেলের বর্ণনা উদ্ধৃত করে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, খুনিরা তিনজন ছিল এবং তারা মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়।
এই খুনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিদেশি, হিন্দু পুরোহিত, খ্রিস্টান যাজকদের হামলার মিল রয়েছে; যেসব ঘটনায় জঙ্গিরাই মূল সন্দেহভাজন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল খবর শুনে চট্টগ্রামে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে যান। তিনিও বলেছেন, বাবুলের তৎপরতায় ক্ষিপ্ত হয়ে জঙ্গিরাই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৬-০৬-২০১৬ইং/ হাছিবুর রহমান