এস কে শাহিন নবাব, বিষেশ প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার টানসিদলা গ্রামের অসহায় হাসনা আক্তার লিমার পরিবারকে গত ১২-০২-২০১৬ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় জোরপূর্বক তার নিজ বাড়ী থেকে বিতারিত করে বের করে দেয় ওই এলাকার মোঃ রফিক মিয়া, মস্তান মিয়া, উমেদ আলী ও শশী সহ আরো অনেকে। এ ঘটনার বিচার দাবী করে এউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেন ভূক্তভুগী হাসনা আক্তার লিমা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে জানা গেছে যে, গত ১২-০২-২০১৬ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় উপজেলার টানসিদলা গ্রামের হাসনা আক্তার লিমা ও তার পবিবারের বসত ঘরে ঢুকে তালা দিয়ে উল্লিখিত মতলববাজরা বাড়িটি দখল করে নেয়।
ওই এলাকার মোঃ রফিক মিয়া ও তার সঙ্গী মস্তান মিয়া সহ আরো অনেকে ঘরে তালা দিয়ে পরিবারকে বের করে দেয়। এ সময় তারা মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে এবং হাসনা আক্তার লিমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
বাড়ী থেকে বিতারিত করার পর বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। ১৯/০২/২০১৬ ইং তারিখে স্থানীয় দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠে বিষয়টির খবর ছাপা হয় এবং ২১/০২/২০১৬ ইং তারিখে দৈনিক সংগ্রামেও বিষয়টি নিয়ে তথ্য পরিবেশন করা হয়। তা সত্বেও হোসেনপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসামীদের সাতে যোগসাজশ করায় আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। পরবর্তীতে সবিচারের জন্য হাসনা আক্তার লিমা কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
গত ১৩/০৫/২০১৬ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার হোসনেপুর থানার এ.এস.আই জনাব আজিজ ঘটনাটি তদন্ত করতে যান। তিনি বাদীর স্বামীর সাথে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি অবগত হন এবং বাদীকে বাড়ীতে আসার জন্য খবর দেওয়া হয়। বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বাদী হাসনা আক্তার লিমা বাড়ীতে আসার সাথে সাথে আসামী রফিক ও তার সঙ্গী মস্তান, উমেদ আলী ও শশীসহ অন্যরা রামদা দিয়া বাদীকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করে। বাদী হাসনা আক্তার লিমা কোন রকমে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় পালিয়ে যান।
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে বলেন, পুলিশের নাকের ডগার সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করা সত্বেও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে এ ঘটনাটির সূষ্ঠ তদন্ত পূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি বিনীত অনুরোধ করছেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৭-০৮-২০১৬ইং/ অর্থ