মোঃ আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গতকাল ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ইং রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ এর নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আচার্য ও এ এস আই জিলানী এবং তিন জন পুলিশ সদস্য করশাকরিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন ও সাংবাদিক মোঃ আশরাফ আলী সহ চৌকিদারদের নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম শেওরা পাড়ায় সফিরুদ্দিন এর চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া শশু মেয়ে হুসনাকে চল্লিশ বৎসরের দুতাবর (দুইত্তেয়াবর) জয়নালের কাছে, মানিক কতৃক জোর পূর্বক বাল্যবিয়ে পন্ড করে দেয়া হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে করশাকরিয়াল ইউনিয়নের সফিরুদ্দিন (৬০), পিতা মৃত সমিরুদ্দিনের মেয়ে হুসনা (১২), শেওরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। মেয়ে শিশু হুসনার বাল্যবিয়ে ভাঙ্গতে কাঁচা রাস্তায় তিন কিলোমিটার হাটেন অভিযানের সময়। গ্রামের ঘুমিয়ে পড়া হাজারো মানুষের মাঝে উদাসীন হুসনা ছটফট করছিল এই জুলুম থেকে বাঁচার জন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেয়ের পিতা রিক্সাচালক সফিরুদ্দিনের কাছে বিয়ের কারন জানতে চাইলে অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে জয়নাল (৪০) আগের বউয়ের ২ সন্তানের বাবা আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা জোর পূর্বক এই বিয়ে করাতে চাচ্ছিল। বাবা গরিবের কেউ নেই।
ঘটনা স্থলে জয়নাল, মানিক, হেলাল সহ আনুমানিক ১০ জন মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে হেলাল ছাড়া সকলেই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে হেলালকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়ের বাবাকে অঙ্গিকার পূর্বক ছেড়ে দেয়া হয়। হেলাল এখন মোবাইল কোর্টের অধীনে পুলিশি হেফাজতে আছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৬-১০-২০১৬ইং/ অর্থ