muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কটিয়াদী

মরুদ্বীপ ৭১ স্বাধীনতা পার্ক ভ্রমণ করল ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’ পরিবার

মো.আরিফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রির্পোট।।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের কুঁড়েরপাড় গ্রামে অবস্থিত মরুদ্বীপ ৭১ স্বাধীনতা পার্ক লিমিটেড ভ্রমণ করেছে মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবার। বিনোদন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভের উদ্দ্যেশে আজ ১০ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাংলাদেশের প্রথম সারির ও কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বাধিক পঠিত জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নির্মাণধীন দেশের প্রথম এ স্বাধীনতা পার্কটি ভ্রমণ করে। 
 
স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে কটিয়াদীর পৌরশহরের অদূরে বিশিষ্ট আইনজীবি ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ইকবালের প্রতিষ্ঠিত পার্ক ভ্রমণে অতিথি হিসেবে আকাঁ বাকাঁ মেঠোপথ ধরে মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবারের সাথে ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামিল।
 জীবনের পরম ক্লান্তিতার ফাঁকে আদরের এক কন্যা সন্তান ও প্রিয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে’র এডমিন (বার্তা সম্পাদক) ও সাংবাদিকদের সাথে একটি আনন্দঘন দিন উপভোগ করেন।
এর আগে পরিবারের বার্তা সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন আহমদ (নিঝুম) এর নেতৃত্বে সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ বটতলা থেকে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উদ্দেশ্যে কুঁড়েরপাড় গ্রামের বিশাল এলাকা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত মরুদ্বীপে যাত্রা করে মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবার।
কিশোরগঞ্জ থেকে দুই ঘন্টার সড়ক পথ পারি দিয়ে সকাল দশটার দিকে মরুদ্বীপ ৭১ স্বাধীনতা পার্কে পৌঁছে তারা। মরুদ্বীপে পৌঁছানো পর প্রথমেই বিশাল পার্কের অর্ধেক অংশ ঘুড়ে বেড়ায় তারা। এসময় বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতিসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি নিদর্শন, জাতীয় চার নেতার স্মৃতিফলক এবং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে ‘বিজয়ের পথ’ নামের সেতুটি ঘুড়ে দেখা হয়।
পরে অতিথিকে সাথে নিয়ে মরুদ্বীপে পানির ওপর গোলাকার আকৃতির দোতলা ভবনের মুক্ত বাংলায় দুপুরের লাঞ্চ সমাপ্ত করা হয়। লাঞ্চ শেষে অতিথিকে নিয়ে মুক্ত বাংলায় বিনোদন মূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাতে মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি ও পরিবারের বার্তা সম্পাদকসহ সাংবাদিকরা যার যার মত করে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পরে সবাইকে ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’ পরিবারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। দিনের অর্ধেক বেলা কেটে যাওয়ার পর নৌকা ভ্রমণ ও পার্কের বাকী অংশ ঘুড়ে দেখা হয়। মরুদ্বীপের তরতাজা মূর্হুতগুলো উপভোগ শেষে মরুদ্বীপ ৭১ স্বাধীনতা পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিবেশিত বিকালের ভোজনে মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবার অংশ নেয়।
ভোজন শেষে জীবনের ক্লান্তিতার অবসান করতে আসা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবারের সদস্যরা ফের পাড়ি জমান কিশোরগঞ্জের গাইটালের দিকে। সুন্দর ও আনন্দঘন মূর্হুত উপভোগ শেষে সঞ্চ্যায় তারা কিশোরগঞ্জে পৌঁছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১০-০২-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: