muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জের হারুয়ায় চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক :

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। কিছুদিন পরপর রাতের বেলায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চোরেরা হানা দিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে চোরের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, হারুয়া চৌরাস্তা মোড়ের আশপাশের এলাকা, কসাইখানা, হয়বতনগর ও ফিসারী লিংক রোডে প্রায় প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো বাসা-বাড়িতে চোরেরা হানা দিচ্ছে। এসব এলাকার মূল সড়কে রাতের বেলায় নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার থাকলেও অলি-গলিপথের বাসা-বাড়ির জানালার ঘ্রিল ও রান্না ঘরের টিন কেটে চোরেরা নির্বিঘনে ভেতরে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় চোরেরা রান্না ঘরের জানালা দিয়ে রাতের খাবারে একধরনের অচেতন নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে। পরে গভীর রাতে বাসা-বাড়ির লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে চুরি করে নির্বিঘনে পালিয়ে যায়। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

কলামিস্ট গাজী মহিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি হারুয়া চৌরাস্তা এলাকায় হারুন ভিলায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়াটিয়া থাকেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সংঘবদ্ধ চোর বাসায় হানা দিয়ে পাশের ভাড়াটিয়া রুমের বারান্দার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বাসার সিলিং টপকিয়ে রান্না ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তিনি সজাগ হয়ে পড়লে একই পথ দিয়ে চোর পালিয়ে যায়। এর আগেও চোরেরা জানালার ঘ্রিল কেটে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, চুরির ঘটনায় অনেক সময় সাক্ষীর অভাবে সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী অনেকে জানায়, সন্ধ্যার পর থেকেই হারুয়া, কসাইখানা, হয়বতনগর ও ফিসারী রোডে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অনেক সময় তাদের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ খুলতে সাহস পায় না। সচেতন মহলের দাবি, চোরের উপদ্রুব ঠেকাতে রাতের বেলায় পুলিশি টহল জোরদার করাসহ এসব এলাকার চিহ্নিত চোরদের বিষয়ে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যথায় সংঘবদ্ধ চোরেরা তাদের কর্মকা- চালিয়ে পার পেয়ে যাবে।

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/৩-মার্চ-২০১৭ইং/নোমান

Tags: