muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

রাস্তায় চামড়ার স্তূপ, মিলছে না ন্যায্যমূল্য

ডেস্ক রিপোর্ট :

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। পাড়া-মহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনাকারী কমিটির লোকজন থেকে শুরু করে কোরবানি দাতারা কেউ ন্যায্যমূল্য দেওয়ার মতো চামড়ার ক্রেতা পাচ্ছেন না।

‘চামড়ার চাহিদা নেই’ বলে ন্যায্যমূল্য দিতে রাজি হচ্ছেন না ট্যানারি ব্যবসায়ীরাও। অভিযোগ উঠেছে তারা কম মূল্যে কেনার উদ্দেশ্যে একটি চক্র দলবেঁধে মাঠে নেমেছে। কিন্তু কোরবানি দাতা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চামড়া সংগ্রহকারীরা ন্যায্যমূল্য না পেলে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। তাই রাস্তার মোড়ে-মোড়ে ছোট-বড় চামড়ার স্তুপ পড়ে আছে, বিক্রি হচ্ছে না। বিক্রেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, সময়মতো এসব চামড়ায় লবণ দিতে না পারলে বা বিক্রি করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কেউ কেউ নিজের কোরবানির পশুর চামড়া অল্পমূল্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে।

এ প্রসঙ্গে সাভারে হেমায়েত পুর এলাকার বাসিন্দা আমান সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে  বলেন, ‘৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া বিক্রি করলাম মাত্র সাড়ে ১৪শ’ টাকায়। উপায় নেই। বেশি সময় রাখলে চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অল্পমূল্যেই বিক্রি করতে বাধ্য হলাম। ’

এদিকে জাম সিংহ জয়পাড়া ১নং ওয়ার্ডের কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন কোরবানির উদ্দেশ্যে গরু কিনেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে। শনিবার সকালে গরু কোরবানিও দিয়েছেন। মহল্লা চামড়া কিনতে যারা এসেছেন, তারা এই চামড়ার মূল্য বলেছেন মাত্র ৬০০ টাকা। উপায় না দেখে তিনি এই চামড়া দান করেছেন মাদ্রাসায়।

এভাবেই শুধু মিনহাজ উদ্দিন  নয়, একই মহল্লায় মাহমুদুল হাসান আলাল, বাহাদুর রহমান হাবীব তার গরুর চামড়া নিজ নিজ এলাকার মাদ্রাসা ও মসজিদে দান করে দিয়েছেন। এভাবেই রাস্তার পাশে এনে জড়ো করা হয় কোরবানির পশুরু চামড়া অভিযোগ পাওয়া গেছে, একটি সিন্ডিকেট ছলচাতুরিতে কমমূল্যে চামড়া কেনার চক্রান্ত করছে। গত বছর এক কোটি পিস চামড়া কিনলেও এ বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা সোয়া কোটি পিস পশুর চামড়া কিনবে বলে নির্ধারণ করছেন।

কিন্তু বেমালুম চেপে যাচ্ছেন সেই বিষয়টি। উল্টো বলছেন, গত বছরের চামড়ার ৫০ শতাংশ রয়ে গেছে। নতুন করে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই। এ সব বলে বলেই তারা সরকারের কাছ থেকে গত বছরের দরেই চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। গতবছর প্রতি ফুট গরুর চামড়া ঢাকায় ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ টাকা ও খাসির চমড়া সারা দেশেই ২২ টাকা দরে কিনেছেন। এবারও তারা একই দর চূড়ান্ত করে নিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। পাশাপাশি শর্ত দিয়ে রেখেছেন, চামড়ায় লবণ মাখানো হতে হবে। ঢাকার বাইরে এই চামড়ার দর হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। লবণ মাখানো প্রতিফুট খাসির চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ২২ টাকা। এভাবেই দেশের চামড়া খাত এখন পুরোপুরি সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এই ঘটনার সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের যুবলীগ নেতা মহাসিন বাবু ও রিয়াজুল নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

Tags: