muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ, ব্যাখ্যা ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকমে ”কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক সংবাদ দাবি করে কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম সোহাগ এক স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করেন। তার প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন বর্তমান কার্যকরী কমিটি গত ১৩-০৯-২০১৭ইং প্রেসক্লাবের র্কাযকরী পরিষদের সভায় এ ধরনের ভিত্তিহীন ,মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।

সংবাদের ব্যাখ্যাঃ

১৯৭৮ সালে কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অত্যান্ত সুনামের সাথে দক্ষ কার্যকরী কমিটির দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। সংবাদে প্রকাশিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: জিল্লুর রহমান মাস্টারের পদত্যাগের সাথে বর্তমান কমিটির কোন সম্পর্ক নেই। প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে ১৯৭৮ সালের ঘটনাকে বিকৃত করে সংবাদে বর্তমান কমিটির উপড় ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যা সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদে প্রকাশিত এম এ তুহিন কোন প্রকার নগদ অর্থ প্রদান করেনি বরং তার নিজ নামে একটি সেক্রেটারীয়েট টেবিল প্রদান করেন। যাহাতে তার নিজ নাম ঠিকানা লেখা রয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে আলম গ্রপের চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ ছিদ্দিক মিয়া ১ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তিনি প্রেসক্লাবকে এ ধরনের কোন অনুদান প্রদান করেননি। প্রেসক্লাবের উন্নয়নের জন্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কুলিয়ারচর গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুছা মিয়া (সিআইপি) সাহেবের প্রচেষ্টায় দি ময়মনসিংহ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কর্তৃক দানকৃত ৩(তিন) শতাংশ ভূমির উপর ৫ (পাঁচ)লক্ষ টাকা ব্যয়ে সরকারী অর্থায়নে ৪ (চার) কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ভবণ র্নিমিত হয়। সাংবাদিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিআইপি মুছা মিয়া নিজ অর্থায়নে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবণ নির্মাণ করেন। নিচ তলায় ৪(চার)টি কক্ষের মধ্যে ১ (এক)টি অফিস কক্ষ ও ৩ (তিন) টি দোকানঘর ছিল । তিনটি দোকান ঘরের মধ্যে তৎকালীন প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটি নির্দিষ্ট অংকের টাকার বিনিময়ে এবং ভাড়া নির্ধারণ করে তিনটি দোকান সহ-সভাপতি রফিক উদ্দিন, তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃশাহাব উদ্দিন এবং প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিল্লুর রহমানের নামে বরাদ্দ দেন। পরবর্তীতে জিল্লুর রহমানের নামে বরাদ্দকৃত দোকানটি ক্লাব অনুকুলে ছেড়ে দেন। যা বর্তমান সাধারন সম্পাদকের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ রির্পোটে সাধারন সম্পাদকের নাম জড়িয়ে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। কনিকা মটরস হতে ১(এক)লক্ষ টাকা জামানত নেওয়া হয়েছে যার দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। অপর দিকে হাসি ইলেক্ট্রনিক্স এর প্রকৃত বরাদ্ধকৃত মালিক সহ-সভাপতি রফিক উদ্দিন ভাড়াটিয়া হিসেবে ১ (এক) লক্ষ ১০ (দশ) হাজার টাকা হাসি ইলেক্ট্রনিক্স থেকে জামানত (ফেরতযোগ্য) গ্রহন করেন। যাতে বর্তমান সাধারন সম্পাদকের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। সংবাদে বিভিন্ন তথ্য দাতারাও তাদের বক্তব্যকে প্রতিবেদক বিকৃত করেছেন বলে ১৩-০৯-২০১৭ ইং তারিখের সভায় জানান। প্রেসক্লাবের কোন অর্থ আত্মসাতের সাথে ক্লাবের বর্তমান সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আদৌ জড়িত নয়।

 

প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ

সংবাদটি অভিযোগকারী কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মো. জিল্লুর রহমান, বর্তমান দপ্তর সম্পাদক মো. নাঈমুজ্জামান নাঈম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ ফারুক, মানবাধিকার কমিশন কুলিয়ারচর শাখার সভাপতি সৈয়দ আবুল কালাম, দৈনিক বর্তমান পত্রিকার কুলিয়ারচর প্রতিনিধি আ.ম. আরীফুল হক, দৈনিক প্রজন্ম ডটকম পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি মো. মাঈন উদ্দিন ও সাপ্তাহিক সময়ের অপরাধ চক্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জামিল খানসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, প্রেসক্লাবের দোকান ঘর ভাড়াটিয়া বিনয় রঞ্জন দাস পিন্টু ও নূর হোসেন ছোটনের বক্তব্য অনুযায়ী এবং অভিযুক্ত প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রফিক উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগের বক্তব্য নিয়ে মো. রফিক উদ্দিন ও মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগের স্বাক্ষরিত বিভিন্ন কাগজপত্র ও বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত তথ্যে অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের উপযুক্ত প্রমানাধি পেয়ে বস্তুনিষ্ট সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের প্রতিবাদ লিপি অনুযায়ী তৎকালীন কমিটিতে কারা কারা ছিল তা উল্লেখ করা হয়নি এবং দোকান ঘর ভাড়াটিয়া বিনয় রঞ্জন দাস পিন্টু ও নূর হোসেন ছোটনের নিকট থেকে কত টাকা ভাড়া উত্তোলন করেন তাও উল্লেখ করেননি। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং তারিখ প্রেসক্লাবে এক জরুরী সভা করে কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হারুন চৌধুরীর নাম ব্যাংক একাউন্টে অন্তর্ভূক্তিসহ টাকা পয়সার হিসাব নিকাশ তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে প্রমাণিত হয় প্রেসক্লাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর এসব টাকা পয়সা হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। উল্লেখিত সংবাদের সঠিক কাগজপত্র তথ্য প্রমানাধি আমার নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। সংবাদের তথ্য প্রমানাধি তদন্তের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলে সংবাদের সত্যতা বের হয়ে আসবে।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২০-০৯-২০১৭ইং/ অর্থ

Tags: