muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

জার্মান সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে ডেনমার্ক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : জার্মানি থেকে ডেনমার্কে যাওয়ারা এখন সীমান্তে সশস্ত্র সেনা সদস্যদের দেখা পেতে পারেন৷ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) এক নতুন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ বাড়াতে বলা হয়েছে৷ খবর, ডয়েচে ভেলে। জার্মানির সঙ্গে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে ডেনমার্ক৷ জানা গেছে, সেনারা মূলত সীমান্তে থাকা পুলিশ চেকপোস্টগুলোর কর্মকাণ্ড চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে৷ এর আগে ইউরোপমুখী শরণার্থীর স্রোত বাড়তে থাকলে ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে সীমান্ত চেকপোস্ট আবারো সচল করেছিল দেশটি৷

ডেনিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্তে মোতায়েন করা নতুন সেনারা সরাসরি গাড়ি পরীক্ষার মতো কাজ করবেন না৷ তবে সন্দেহভাজন দেখলে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে এবং সীমান্তরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা৷ আপাতত, তিনমাসের জন্য তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেনিশ কর্তৃপক্ষ৷ তবে তাঁদের রডবি এবং গডসার ফেরি টার্মিনালে দেখা যাবে না বলেও জানিয়েছে তারা৷ সীমান্তে মোতায়েন করার আগে ১৬০ জন সেনা সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ এঁদের মধ্যে অর্ধেকর মতো সদস্যকে ইহুদিদের বিভিন্ন স্থাপনা এবং কোপেনহেগেনে ইসরায়েল দূতাবাস পাহারা দিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ শুক্রবার ছিল কিপুর হলিডে৷ আগামী দুই সপ্তাহে ইহুদিদের আরো কয়েকটি হলিডে রয়েছে৷

এদিকে, সীমান্ত এবং অন্যত্র সেনা মোতায়েন করায় কিছু পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র সরাতে সক্ষম হয়েছে ডেনিশ কর্তৃপক্ষ৷ দেশটির বিভিন্ন শহরে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সদস্যদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হচ্ছিল বলে জানা গেছে৷ ডেনিশ সীমান্ত সংলগ্ন জার্মানির স্লেগভিগ-হল্সটাইন রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডানিয়েল গ্যুটনার ইতোমধ্যে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ স্থায়ীভাবে সীমান্তে এমন কোনো উদ্যোগ দেখতে চান না বলেও ডেনমার্ককে জানিয়েছেন তিনি৷

উল্লেখ্য, নিরাপত্তার কারণে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাময়িক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকে বাড়ানোর এক প্রস্তাব ইউরোপীয় কমিশনে উত্থাপন করা হয়েছে৷ সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক এবং নরওয়ের সীমান্ত দুই বছরের জন্য যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল তা নভেম্বরে শেষ হতে চলেছে৷ এরকম নিয়ন্ত্রণ জারি রাখতে তাই ইইউ’র অনুমতি প্রয়োজন৷ কমিশন যদি নতুন প্রস্তাব অনুমোদন করে, তাহলে দেশগুলো আরো একবছর এমন এমন নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখতে পারবে৷

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/৩০সেপ্টেম্বর২০১৭ইং/নোমান

Tags: