মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : পৈত্রিক সম্পত্তির উপর জোড় পূর্বক ঘড় তোলায় বাধা প্রদান করতে গিয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরলেন নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নের আইনুল হক মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের মৃত জসির উদ্দিন টটেয়া মামুদের পুত্র জামিদুল ইসলাম (৫০) অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত ৩ অক্টোবর সকাল অনুমান ৯ টার সময় একই গ্রামের মোঃ ছমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৪), মোঃ লাকু হোসেন (২১), মোঃ নুর নবী হোসেন (১৮) ও মোঃ বকুল হোসেন (২০) উভয়ের পিতা আনোয়ার হোসেন ১১ শতাংশ জমির সীমানা ঠেলে দিয়ে জোড় পূর্বক দোকান ঘর উত্তোলনে পাকা স্থাপনা নির্মাণে প্রস্তুতি নিলে জামিদুল ইসলাম ঘটনার স্থলে গিয়ে বাধা প্রদান করলে উভয় পক্ষ বিবাধ সৃষ্টি হয়।
অতপর আনোয়ার হোসেন গং এর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠি লোহার রড দ্বারা জামিদুল ইসলামকে মারধর করলে তার মাথার বাম পার্শ্বে আঘাত লাগে এবং তার ছোট ভাই মোঃ একরামুল হক আহত হয়। এতে জামিদুল ইসলাম গুরুত্বর অসুস্থ্য হলে তাকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাতে জামিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ অক্টোবর রাত ৯টার সময় মারা যায়। নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) মোঃ জিয়াউর রহমান বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । এ ব্যাপারে নিহত জামিদুল ইসলামের বড় ছেলে মোঃ আজিজুল ইসলাম বাদী হয়। গত ৪ অক্টোবর ডিমলা থানায় উক্ত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মামলা নং-৫। এ ব্যাপারে ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ইতি মধ্যে ছমির উদ্দিন (৬৫) নামে একজনকে ধরা হয়েছে। বাকি আসামীদের কে ধরার প্রক্রিয়া চলছে।