muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

দীর্ঘ জ্যাম থেকে পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জবাসী

মোঃ আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টার ।। কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের মধ্যে পুরানথানা মোড় উল্লেখযোগ্য জ্যামের মোড় হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিনের এই জ্যাম ঢাকার বড় বড় মোড়কে হার মানিয়ে মানুষের সহ্যসীমা পাড় হয়ে যায়।

এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ মিয়ার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, টি.আই মাহমুদ হাসান চৌধুরী, টি.আই আশরাফ উদ্দিন সহ ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় পুরানথানা মোড়ে জ্যাম কমানোর জন্য একটি ডিভাইডার তৈরি করা হয়।

গতকাল ১৭ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে শহরের প্রথম ডিভাইডার তৈরি করা হয়।

পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ মিয়া বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে মূল জ্যাম থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে উদাহরণ নিয়ে বাকী মোড়গুলোতে স্থানান্তর করা হবে। মানুষকে ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও ওয়ানওয়ে ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, আমরা প্রথম অবস্থায় চারটি জিনিসকে লক্ষ্য রেখে কাজ করব। প্রথমত- একরামপুর তিন রাস্তার মোড় হয়ে পুরানথানা দিয়ে শুধু ঢুকবে নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত। দ্বিতীয়ত- বের হবে শুধুমাত্র পুরানথানা হয়ে ঈদগাহ মাঠের ব্রীজ বিয়ে সতাল হয়ে চলে যাবে। তৃতীয়ত- অটোস্ট্যাণ্ডগুলোকে সতাল মোড়, ঈদগাহ মাঠ মোড়, উকিলপাড়া মোড়ে স্থানান্তর করা হবে। চতুর্থত- অটোগুলিকে শহরের জন্য নির্দিষ্ট একটি কালার নির্ধারণ করা হবে এবং লরি ট্রাক মেইন শহর এড়িয়ে চলার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা গৌরাঙ্গ বাজার মোড়, কালীবাড়ী মোড়, জাহাঙ্গীরের মোড় ও আখড়াবাজার মোড়কে পরবর্তীতে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পথচারী মোবারক হোসেন বলেন, নিফ আইটি লিঃ (শহীদী মসজিদ এর সামনে) থেকে গাংচিল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত ১০০ গজ রাস্তা কোনদিনই ১৫ মিনিটে যাওয়া যায় না। আমার দেখা অনেক রোগীই শহীদী মসজিদের অটো স্ট্যান্ডের সামনে সিএনজি’র ব্যারিকেডে পড়ে কাতরাচ্ছিল। কিন্তু সিএনজিওয়ালারা এদিকে লক্ষ্য না করে তাদের ভাড়ার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে। এতে জ্যামের মূল উৎস হিসেবে আমরা স্থানীয়রা মনে করি।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা জ্যামের জন্য জিম্মি হয়ে গিয়েছিলাম প্রায়। রাস্তার পাশে ফুটপাত ও অপ্রত্যাশিত গাড়ি রাখায় রাস্তার দুই দিকে ৩ ফুট করে ৬ ফুট বন্ধ থাকে। এতেই শেষ নেই। অটোওয়ালারা মাঝ রোডে যাত্রী নামায়, যাত্রী তোলে সামনে না তাকিয়ে পিছন দিকে ফিরে তাকিয়ে গাড়ি চালায়। ব্যাটারিচালিত রিক্সা যেখানে-সেখানে গাড়ি রেখে এই জ্যামের উৎস তৈরি করে। এ উদ্যোগে জনগণের দীর্ঘ জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শহরবাসী।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৮-১০-২০১৭ইং/ অর্থ

Tags: