muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সুন্দরগঞ্জে পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে জিম্মিকরে ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে শিক্ষক

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ।। পরীক্ষার সাজেশন দেয়ার নামে এ বিদ্যালয়ে ছুটির পরে ডেকে এনে জিম্মি করে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে চন্ডিপুর এটিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিত ছাত্রীটির অভিযোগ, ধর্ষণের পর ধারণ করা ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে ওই বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপু। এঘটনা জানার পর নির্যাতিত মেয়েটির বাবা প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর এটিএম বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর মেধাবী এই ছাত্রীর অভিযোগ, এবছরের ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি ওই শিক্ষক তাকে সাজেশন দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ছুটির পর বিদ্যালয় থাকতে বলে তাকে। এসময় মেয়েটি বাথরুমে গেলে ওই শিক্ষক তাকে জোরপুর্বক ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে তার পর থেকে প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক সাজ্জাদুল।
মেয়েটি জানায়, লাজ লজ্জায় সে কাউকেই এঘটনা বলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তার কাছের কয়েকজন বান্ধবীকে ঘটনা খুলে বলে সে। এ বছরের নভেম্বরে নির্যাতিত মেয়েটির জন্মদিনে তার বান্ধবীরা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মেয়েটিকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করে তার পরিবার। এরপর গত ২৯ নভেম্বর এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা। এরপর অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ও তার লোকজনের হুমকিতে ছাত্রীটির পরিবার এখন এলাকা ছেড়ে সুন্দরগঞ্জের একটি গ্রামে নিকটাত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়ে আছে।
মেয়ের বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজা উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার জন্য বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের ডাকেন। ওই দিন শতশত অভিভাবক ওই বিদ্যালয়ে ভীড় জমালে প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। পরে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরদিন পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয়ের তালা খুলে দেন এবং নির্যাতিতার পরিবারকে তার কার্যালয়ে ডেকে আসেন।
আজ রবিবার সকালে সাংবাদিকরা উক্ত বিদ্যালয়ে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে সব ধরণের আইনী সহায়তা দিবেন।

Tags: