muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট চুরির চেষ্টা : চোরকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

পাপন সরকার শুভ্র, রাজশাহী।। পানিতে ডোবা, দুর্ঘটনায় আটকে পড়া, মাটি চাপা-পাহার ধসে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা । এবার ভিন্ন একটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা। নগরীর তেরখাদিয়া বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের টাওয়ারে তার চুরি করতে গিয়ে আটকে পরে। পরে তাকে উদ্ধার করতে ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

এ ঘটনানি ঘটেছে শুক্রবার সকালে নগরীর তেরখাদিয়া বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। আটক চোর হলেন, নওগাঁ মান্দা উপজেলার খুদিয়াডাঙ্গা এলাকার বাবুলের ছেলে নয়ন (৩০)। সে বর্তমানে তেরখাদিয়া এলাকার জার্জিসদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে নয়নসহ ৩জন তার চুরি করতে তেরখাদিয়া স্টেডিয়ামের প্রায় ১৬০ ফিট উচ্চতার ফ্লাড লাইটে উঠে। এরপর দুই সঙ্গী তার কেটে তাকে তারগুলো নিচে নামিয়ে দিতে বলে ফ্লাডলাইটের টাওয়ার থেকে নেমে যায়। এরপর চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে স্টেডিয়ামের পাহারাদাররা টাওয়ারটি ঘিরে রাখে।

এসময় নয়ন টাওয়ারে আটকা পড়ে। আর পাহারাদারের উপস্থিতি টের পেয়ে নয়নের বাকি সঙ্গিরা পালিয়ে যায়। এরপর অনেক চেষ্টা করেও স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ চোরটিকে ফ্লাডলাইটের টাওয়ার থেকে নামাতে পারেনি।

শেষে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরাহদ হোসেন জানান আটকে পড়া চোরটি নিচে নামতে চাচ্ছিলো না। অনেক চেষ্টা করে ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের পর তাকে টাওয়ার থেকে নামাতে সক্ষম হই। পরে তাকে পুলিশের এসআই মোস্তাকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

নয়ন পুলিশকে জানায়, নয়নসহ পলাতক চোররা দিনের বেলা অটো চালায়। তারা ফ্লাড লাইটের তার চুরি করে। তারগুলো তামার হওয়ায় এবং তামার তারগুলোর দাম বেশি হওয়ায় তারা এ তার চুরি করে। তারা প্রত্যেকদিন স্টেডিয়াম এলাকায় একসঙ্গে হয়ে ফ্লাডলাইটের তার চুরি করে।

আটকে পড়া চোরকে উদ্ধারের সময় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ ও অভিযোগ করে বলেন, এই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের তার প্রায় চুরি হয়। দুটি ফ্লাডলাইটের তার চুরি ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। এটি ৩ নম্বর ফ্লাডলাইট। প্রায় প্রত্যেকদিন চুরির ঘটনা ঘটলেও গার্ডরা চোর ধরতে পারে না বলে। আসলে এর সঙ্গে গার্ডসহ দুই একজন কর্মকর্তাও জড়িত আছে। নইলে চোররা প্রত্যেকদিন তার চুরি করে কিভাবে ?

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্টেডিয়ামের কেয়ারটেকার হাসনা বানু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কোনো গাফলতি নাই। তবে চোরের বিষয়ে তিনি প্রথমে মামলা দায়ের করতে রাজি হননি। পরে তিনি মামলা করার বিষয়ে রাজি হন।

Tags: