muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ৩০তম স্থানে জায়গা করে নেবে

অর্থনীতি ।। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর আরো উন্নত জায়গায় পৌঁছাবে। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৭১তম। যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম স্থানে জায়গা করে নেবে।

‘লয়েডস লিস্ট’ এর ২০১৬ সালের জরিপে চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৭১তম স্থান অর্জন করেছে।

এ সাফল্য উদযাপনে মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হারমনি হলে বিশেষ অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরটি ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বন্দর হিসেবে মর্যাদা পায় ১৯৪৭ সালে। তখন এ অঞ্চলে এটিই ছিল একমাত্র বন্দর। অর্থনৈতিক সংকট, ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা সত্বেও বন্দরটি আজ  বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে ৭১তম স্থান লাভ করেছে। এজন্য আমি সত্যিই আনন্দিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে বন্দরের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই বন্দরের কারণে রপ্তানিতে যেন কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ, রপ্তানির ওপর আমাদের অর্থনীতির অনেক কিছু নির্ভর করে। এজন্য বন্দরের সুবিধা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, অর্থনীতির জন্য দুটি জিনিস খুব দরকার। একটি হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানি, অন্যটি অবকাঠামো। আর অবকাঠামোর মধ্যে বন্দর অন্যতম। বিদ্যুৎ সুবিধা বাড়ালে হয়ত নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। কিন্তু শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে বন্দরের সুবিধা দিতে হবে। এজন্য বন্দর-সুবিধা ও জ্বালানি-সুবিধা একসঙ্গে দিতে হবে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’ এর ২০১৬ সালের জরিপে (২০১৭ সালে প্রকাশিত) বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭১তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালের জরিপে (২০১৬ সালে প্রকাশিত) বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। আর ২০০৮ সালে ছিলো ৯৮তম স্থানে। জরিপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন ও সিঙ্গাপুর।

Tags: