muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রকমারি

রহস্যে ঘেরা লালবাগ কেল্লা!

রকমারি ।। ছোটবেলা থেকেই আমরা বইপত্রে লালবাগ কেল্লার ইতিহাস পড়েছি। রাজধানী ঢাকার দক্ষিনপশ্চিম অংশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গর্বের সাথে দাড়িয়ে আছে মুঘল দুর্গ লালবাগ কেল্লা। ১৬৭৮ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র মুঘল সুবেদার মুহাম্মদ আজমশাহ কেল্লাটির নির্মাণকাজ আরম্ভ করেন। তিনি বাংলায় ১৫ মাস অবস্থান করেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের ডাকে বাংলা ত্যাগ করার সময় কেল্লার নির্মাণ সমাপ্ত হয়নি। কিন্তু এই বিশাল আকারের প্রাচীন নিদর্শনটিকে ঘিরে লোকমুখে প্রচলিত রহস্যগুলোর আজো  কোনো উত্তর মিলেনি।

রহস্যময় সুড়ঙ্গঃ লালবাগ কেল্লা’র নিচে রয়েছে অনেকগুলো সুড়ঙ্গ। এগুলো জমিদার আমলে তৈরি করা হয়। জমিদাররা বিপদের সময় এসব সুড়ঙ্গ পথে পালিয়ে যেতেন। তেমনই একটি সুড়ঙ্গ আছে এখানে, যার ভেতরে কেউ ঢুকলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ কেউ এই সুড়ঙ্গের ভেতর প্রবেশ করলে সে আর ফিরে আসে না।

পরীক্ষা করার জন্য একবার দুটো কুকুরকে চেইনে বেঁধে সেই সুড়ঙ্গে নামানো হয়েছিলো। চেইন ফেরত আসলেও কিন্তু কুকুর দুটো ফিরে আসেনি। কথিত আছে, একবার এক উৎসুক যুবকও সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছিল কোমরে চেইন বেঁধে। বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়া পরও যখন সে ফিরে আসেনি, তখন চেইনে টেনে উদ্ধার করা হয় শুধু কিছু হাড়গোড়। এ যেন হরর মুভিকেও ছাপিয়ে যাওয়া অলৌকিক কোনো কাহিনী!

স্থাপত্যবিদদের মতে, এ পথটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে টঙ্গী নদীর সঙ্গে যুক্ত। আবার কেউ মনে করে, এটি একটি জলাধারের মুখ। এর ভেতরে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। মোঘলদের পতনের পর লালবাগ দুর্গ যখন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়, তখন ঢাকাবাসীর সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই সুড়ঙ্গ। আর তখন থেকেই নানা মুখরোচক কাহিনী চালু হয় সুড়ঙ্গটি নিয়ে।

এই সুড়ঙ্গের ভেতর এতই অন্ধকার যে যার মধ্যে কোন টর্চ বা আলো কোন কিছুই কাজে আসে না। বর্তমানে সুড়ঙ্গটি সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। লালবাগ কেল্লার এই রহস্যময় সুড়ঙ্গটির রহস্য আদৌ ভেদ করা সম্ভব হয়নি।

Tags: