muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

ক্যাম্পাস

রাবি সিনেট নির্বাচন স্থগিতসহ তিন দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি

মো:উমর ফারুক, রাবি প্রতিনিধি ।। রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয় সিনেট নির্বাচনে প্রায় ২৮ বছর ধরে ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়াই হচ্ছে। কিন্তু স্বায়ত্বশাসিত বিশ^বিদ্যালয় পরিচালনার ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটে ২৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট ও ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি থাকার নিয়ম রয়েছে। আগামী ২৩ এপ্রিল আবারও ছাত্রদের মধ্য থেকে এই দুই প্রতিনিধি না রেখেই এবার সিনেট সিন্ডিকেট সহ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্র সংগঠনগুলো। কেউ কেউ ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া অসম্পূর্ণ সিনেট নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন সূত্রে জানা যায়, আইনের সিনেটে কে কে সদস্য হবেন এই আলোচনার ১২নং উপধারায় ২৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট ও ১৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি থাকবেন। তবে গত ২৭ মার্চ বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্য ড. এম আব্দুস সোবহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারীকে রিটার্নিং অফিসার করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ২৩ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনগুলোতে ১৯৭৩ এর অর্ডিন্যান্স ও স্টাটিটিউট এর নিয়ম অনুযায়ি সিনেটের ৩৩ শিক্ষক প্রতিনিধির নির্বচনের কথা থাকলেও আইনের সিনেট সংক্রান্ত আলোচনার মোট ১৪ উপধারার ১২ টি মানা হলেও বর্ণিত গ্রাজুয়েট ও ছাত্র প্রতিনিধি এই দুই উপধারার বিষয়ে কোন ঘোষণা দেওয়া হয় নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ হওয়ার পর থেকে ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়াই নির্বাচন চলছে সিনেটের। এবং গত ১৯ বছর ধরে রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচন হচ্ছে। এই হিসাবে গ্রাজুয়েট ২৫ ও ছাত্র প্রতিনিধি ৫ মোট ৩০ প্রতিনিধি ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোও দাবি জানাচ্ছে সিনেট অসম্পূর্ণ রেখে সিনেট নির্বচন স্থগিত রাখা হোক। এরই মধ্যে ছাত্র প্রতিনিধি বিহীন সিনেট নির্বাচন স্থগিত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে রাবি শাখা প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় ছাত্র প্রতিনিধি বিহীন সিনেট অসম্পূর্ণ এবং একটি অসম্পূর্ণ সিনেট কখনো শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে না। তাই তারা অবিলম্বে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেট সম্পূর্ণ করার দাবি জানান। একই সাথে আগামী ২৩ শে এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য সিনেট নির্বাচন স্থগিত করার দাবি তাদের। তবে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ লক্ষ করা যায় নি সম্প্রতি।

এ ব্যাপারে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ইতপূর্বে আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে রাকসু ও সিনেট নিয়ে কথা বলেছি। তবে আবারও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবারও বিষয়টি উত্থাপনের কথা জানান তিনি।

এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে কথা বলতে পারছেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সিনেট নির্বাচন যেহেতু অনুষ্ঠিত হবে তবে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বার্তা নিয়েই সিনেট সম্পন্ন করতে হবে এবং পরবর্তীতে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে সিনেট সম্পূর্ণ করার দাবি তার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটানিং অফিসার বিশ^বিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারী বলেন, ‘আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে সিনেট সদস্যদের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এখানে শুধু শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু রাকসু নির্বাচন হয়নি তাই ছাত্র প্রতিনিধি এবং গ্রাজুয়েট নির্বাচন হওয়ায় এই পদগুলোর নির্বাচন হচ্ছে না বলে দাবি তার।

Tags: