muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

নির্বাচন

ভোলা-৪ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে আলোচনায় ঢাবি অধ্যাপক ড. জামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দলের প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে ভোলা জেলার অন্যতম আসন ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা নির্বাচনী এলাকা) এর নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। আসন্ন নির্বাচনে কে হবেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে চায়ের কাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে বইছে আলোচনার ঝড়। এ আসনটিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় সাংসদরা রাজত্ব করেছেন। বর্তমানে এ আসনটির সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ সর্মথিত জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান এমপি ছাড়াও আওয়ামী লীগ সর্মথিত অনেক প্রার্থী আছেন। যারা দলের জন্য নানান ত্যগ স্বীকার করছেন। এদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন। যিনি আড়ালে থেকে আওয়ামী লীগকে ভালবেসে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে উৎস্বর্গ করার চেষ্টা করছেন।

ড. জামালের রাজনৈতিক জীবন :

কৈশর থেকে ড. জামাল ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকা কলেজের ‘সাউথ হল’ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ নিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরে ১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন।

পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৮-৯০ সালে তিনি কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, ১৯৯০-৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য এবং ১৯৯২-৯৪ সালে তিনি কবি জসিম উদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৪-৯৮ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কর্যনির্বাহী সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্র জীবন শেষে ড. জামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন। তরুন বয়সেই তিনি একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, ১/১১ সময়কালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাবি শিক্ষকদের মুক্তির দাবীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ কর্মসূচী পালন করে কালো পতাকা উত্তোলন করেন।

১/১১ সময়কালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাবি শিক্ষকদের মুক্তির দাবীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করেন।

 

তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি, নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষে ‘কোটা সংস্কার’ এর বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বিভিন্ন কর্মসূচীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন।

৩ মে, ২০১৮ সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শাখার উদ্যোগে কোটা প্রথা বহাল রাখার দাবি নিয়ে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন আ.ক.ম. জামাল উদ্দীন।

 

অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার পাশাপাশি ‘চরফ্যাশন-মনপুরা’ এলাকার মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, অসহায় ও মেহনতি মানুষের সুখ-দুঃখের খবর নেন। যখনই সময় পান তিনি ‘চরফ্যাশন-মনপুরা’ এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন ‘আলোর দেশ’ কে বলেন, “আমি কৈশর থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমি অন্যদের মত কোন সুবিধা নেওয়ার জন্য রাজনীতি করিনা। আমি শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ভালবেসে এদেশের সাধারন মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যখন যে দায়িত্ব দেন আমি তা আন্তরিকতা ও সততার সাথে পালন করবো।

উল্লেক্ষ্য, অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ‘চরফ্যাশন টিবি স্কুল’ ও ‘দুলার হাট কলেজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মরহুম আরব আলী মাষ্টারের ছেলে। সাবেক যুগ্ম সচিব একেএম আবদুস সালামের ছোট ভাই। ভোলার অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও কর্ণফুলি লঞ্চের মালিক সালাউদ্দিন মিয়ার জামাই।

Tags: