muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

হিজড়াদের টাকা আদায় এবং দৌরাত্ম্য বন্ধের আহ্বান তোফায়েলের

জোর করে হিজড়াদের টাকা আদায় এবং তাদের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দুই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহামেদ এই আহ্বান জানান। সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের পক্ষে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেন তোফায়েল আহমেদ।

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের নুর জাহান বেগম তার প্রশ্নে বলেন, রাস্তায়, যানবাহনে হিজড়ারা জোর করে মানুষের কাছে টাকা দাবি করে এবং মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে। তাদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না।

এরপরই আরেক সম্পূরক প্রশ্ন করেন সংরক্ষিত আসনের এমপি কবি কাজী রোজি। হিজড়াদের দৌরাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিজড়ারা রাস্তায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা দাবি করে, বিশেষ করে কারও সন্তান জম্মালে তারা সেখানে হানা দেয় এবং চাঁদা চায়।

কেউ দিতে না পারলে তারা নানা ধরনের হুমকি দেয়। একবার রাস্তায় আমি এক হিজড়াকে টাকা দিতে না চাইলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। খারাপ ভাষায় কথাও বলে এবং বিশ্রি অঙ্গভঙ্গি করে।

এ দুটি প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো, যাতে তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো এ ধরনের ঘটনা থেকে হিজড়াদের বিরত রাখার জন্য যাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজে যেসব অসহায় মানুষ আছে, তাদের সাহয্যের জন্য, পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। হিজড়াদের জন্যও কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। রাস্তায় হিজড়ারা টাকা দাবি করে, এটা আমার জানা নেই। তবে হিজড়াও মানুষ, তাদের সহযোগিতার জন্য আমাদের সবাইকে হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। প্রত্যেক সংসদকে দেখতে হবে, তাদের এলাকায় কোনো হিজড়া পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকলে তাকে কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা।

সংরক্ষিত আসনের আরেক সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর এক প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, হিজড়াদের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে। সে অনুয়ায়ী পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তাদের কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হলে আবার অনেকে চলে যায়। তারা যাতে চলে না যায়, সেজন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবন্থা করা উচিত।

Tags: