muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও নিজের ইচ্ছায় বিদ্যালয় ছুটি

ডিমলা (নীলফামারী)প্রতিনিধি ।। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের আমিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগন সরকারি বিধিমালা না মেনে নিজ খেয়াল খুশি মত বিদ্যালয়টি ছুটি দিয়ে থাকেন। সরকারী নিয়ম সকাল ৯টায় সকল শিক্ষক হন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেন বিদ্যালয়টি প্রতিনিয়ত খোলা হয় না, কোনদিন আনুমানিক সকাল ১০ টা বা ১০টা ৩০মিনিটে,খোলা হয়। শিক্ষকগন নিয়মিত আসে না,ফলে আমাদের ছেলে মেয়েরা সুশিক্ষা হতে বঞিত হচ্ছে। স্কুল ৪টা ২৫মিনিট খোলা রাখা নিয়ম থাকলে প্রায় সময় দুপুর-১.৩০ টার সময় বা ২টা বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে সকলে চলে যান।

গত ৯ই জুলাই দুপুর ২.০০ টায় পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সরেজমিনে দেখা যায়। বিদ্যালয়টি খোলা থাকলেও ২৫/৩০ জন ছাত্র/ছাত্রী ও ২ জন শিক্ষক/ দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছে এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ও সহকারি শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম (বাবুল) উভয়েই লুঙ্গি পড়ে কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। কিন্তু বিদ্যালয়টি ১৯৯১ সালে স্থাপিত এবং ১৯৯৭ সালে জাতীয়করণ হয়। পরে এলাকাবাসী ও আমিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক বৃন্দের মধ্যে মোঃ জমছের আলী,গাফফার হোসেন এর কাছে গিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের অনিয়মের কথা ও শিক্ষক সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে ৫ দিন স্কুল আসে না। এমনকি সপ্তাহে ৭ দিন হাজিরা খাতা স্কুলে নিয়ে আসে না। শিক্ষকরা ৭ দিনের সহি স্বাক্ষর ১ দিনে করিয়া নেয়। এই বিদ্যালয়টি অনিয়মিত ভাবে খোলা হয় এবং বন্ধ হয়। উপস্থিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (বাবুল) এর সাথে কথা হলে জানান, আমরা বিদ্যালয়টি এভাবেই চালাবো আপনাদের কোথাও ফোন দেওয়ার থাকলে দিবেন,যা করার ইচ্ছা করবেন। পরে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এ অনিয়মের বিষয়ে কথা বললে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক আমার কথা শুনে না।

এ বিষয় আমিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি মোঃ সিদ্দিক আলী (মুন্সির) সাথে ফোনে যোগাযেগ করলে তিনি জানায় আমরা এভাবেই স্কুল চালাব বলে ফোন বন্ধ করে রাখেন।

অপর দিকে ভেন্ডাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ৩.০০ টায় বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজু ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে জানায় আমি ২.৫০টায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছি বলে ফোন বন্ধ করে রাখে।

এই ভাবে তালে গোলে চলে প্রতিষ্ঠান দুইটি অথচ শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের নানাবিদ সুযোগ সুবিধা দিলেও শিক্ষকদের গরিমশির কারণে ভেঙ্গে পরে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা । সংবাদকর্মীদের দেখে এলাবাসী এগিয়ে এসে বলেন এই স্কুলের শিক্ষকদের সস্পর্কে লেখালেখি করে কোন লাভ নাই, এদের হাত অনেক লম্বা। ওনারা কষ্ট করে স্কুল তৈরি করেছে তারা তাদের খেয়াল খুশিমত ছুটি দিবে তাতে কারো কিছু করা নাই। প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক রাজু ইসলাম প্রভাবশালী তাই এলাকাবাসী কিছু বলার সাহস পায় না।

পরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল ইসলাম (ফিরু) এর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আসলে লুঙ্গি পড়ে বাচ্ছাদের ক্লাস করার নিয়ম নেই, হাজিরা খাতা বাড়িতে রেখে আসা নিয়ম নেই এবং বিদ্যালয় আগাম ছুটি দেওয়ার নিয়ম নেই। আপনারা আমাকে একটি পেপার করিয়ে দিন আমি তাহাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। এই বলে ফোন কেটে দেন।

Tags: