ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনই বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় হেলমেটধারী সেই যুবকসহ গ্রেপ্তারকৃত ছয় জনের কাপাসিয়ার মো. আশরাফুল ইসলাম রবিন (৩৫)।
কাপাসিয়া থানার পুলিশ পদির্শক(অপারেশ) মনিরুজ্জামান জানান, মো. আশরাফুল ইসলাম রবিন কাপাসিয়ার দাদা গ্রুপের অন্যতম লিডার ছিল। সে এলাকায় মারামারি সহ নানঅপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে এলাকার লোকজন তাকে পিটিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
গত সোমবার দিনভর সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার পূর্ব বিভাগ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের(প্রধান বাড়ি) মৃত মহিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম রবিন।
তাছাড়া হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যুবক ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী ও মির্জা আব্বাসের অনুসারী মো. এইচ কে হোসেন আলী, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূঁইয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আব্বাস আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও সহসভাপতি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল মাহবুবুল আলম। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের কারো-কারো পরিবার বলছে, কয়েক দিন আগেই ধরে নেয়া হয় তাদের।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদলের ছয় নেতার প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরির্দশক কামরুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।