muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

২৪ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৯ দিন স্ট্রাইকং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এছাড়াও ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৬৬ জেলায় সীমিত আকারে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে বৈঠক করবে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব(নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) ফরহাদ হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা -২) ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, আগামীকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী কতদিন মাঠে অবস্থান করবেন সে বিষযে সিদ্ধান্ত হবে। ইতোমধ্যে বাহিনীগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠক হয়েছে। কাল সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা কতদিন মাঠে অবস্থান করবেন সে বিষয়টিও কাল চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, এবারও ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও তাদেরকে একইভাবে মোতায়েন করেছিল ইসি। যদিও ২০০৮ সালে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরে তা বাতিল করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপাল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের পরদিন অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

সেই সাথে ২৪-২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েনকৃত স্বশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ব্যাটেলিয়ান আনসারের মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে।

তবে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর সংখ্যা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Tags: