muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ভোটের মাঠে সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় তৈরি : ডিএমপি কমিশনার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠ সংঘাতমুক্ত ও আনন্দমুখর রাখতে রাজধানীজুড়েই সুসংগঠিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী, আনসার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সব বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় তাদের টহল অব্যাহত রেখেছেন।’

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে রাজধানীজুড়ে পুলিশের চারটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। মিরপুর, আব্দুল গনি রোড, গুলশান ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এসব অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থাকবে। এর মাধ্যমে রাজধানীর ২১১৩টি ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ৪-৫টি কেন্দ্র মিলিয়ে একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম ডিউটিতে থাকবে।’

এছাড়া, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সুস্পষ্ট নিরাপত্তাজনিত কোনও হুমকি না থাকলেও অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খল বাহিনীর সব সংস্থা মিলে ভোটের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। যেন কোনও ধরনের সংঘাত না হয়। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট শেষে বাড়ি ফিরবেন, তাদের নিরাপত্তায় যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। যদি কোনও ভোটার তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন, তবে ৯৯৯-এ কল দেবেন, অথবা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন। আমরা তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবো।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের গোয়েন্দা ও আইইডি বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। অগ্রিম তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাজনিত কোনও হুমকি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। ভার্চুয়াল জগতে যে কোনও ধরনের হুমকি, গুজব প্রতিরোধে তারা সবসময় সচেষ্ট রয়েছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও এজেন্টদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। নির্বাচন কমিশনের অর্পিত সব দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স করা সব অস্ত্র আমরা বিভিন্ন থানায় জমা নিয়েছি। প্রার্থী ব্যতীত কেউ কোনও বৈধ অস্ত্র কেউ বহন বা প্রদর্শন করতে পারবে না। যেসব স্থানে পেশীশক্তি প্রয়োগ হতে পারে বা বাধা আসতে পারে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তেমনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাধাহীন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে সব প্রস্তুতি চলমান আছে।’

নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১৪টি পয়েন্ট থেকে ব্যালট পেপার বিতরণ ও জমা নেওয়া হবে। সেসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। যে কোনও ধরনের গোলযোগ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণসহ সব বাহিনীর সমন্বয়ে সুষ্ঠুভাবে অর্থবহ ভোট অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধ পরিকর।’

সুস্পষ্ট নিরাপত্তার কোনও হুমকি নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিগত নির্বাচনের বিভিন্ন সংঘর্ষের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আমরা ছক সাজিয়েছি। কোনও ভোটারের নিরাপত্তায় কোনও হুমকি থাকলে ৯৯৯, কন্ট্রোলরুম বা যে কোনোভাবে পুলিশকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।’

বিএপির পক্ষ থেকে পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এটি একেবারেই তথ্যনির্ভর নয়। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মী হিসেবে আইনের আলোকে কাজ করে থাকি। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি— ঢাকায় বিনা ওয়ারেন্ট বা সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পক্ষপাতের এই অভিযোগ সত্য নয়।’

Tags: