রাজশাহীর বাঘায় ভূমি কর্মকর্তা ও তার নিরাপত্তা কর্মীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতারের এ তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে গতকাল রোববার বেলা ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়। মারপিটের ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান সামসুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা একটি দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- হরিরামপুর গ্রামের আবদুল গনি মন্ডলের ছেলে আবুল বাসার, মৃত কাশেম আলীর ছেলে বেলাল হোসেন, আলাইপুর গ্রামের শহিদুল মল্লিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম, আজাহার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, নইমুদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও নবাব আলী, কলিগ্রামের লেকা াঙভড়ির ছেলে সুলতান হোসেন, জালাল উদ্দিনের ছেলে তারেক আজিজ, মৃদ হারান মন্ডলের ছেলে ভোজা মন্ডলসহ ৯ জনকে আটক করে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার আলাইপুর-হরিরামপুর পদ্মা নদীতে স্থানীয় নওশাদ আলী ও তার লোকজন দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এবিষয়ে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এর কাছে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড)। এ সময় নওশাদ আলী ও তার ৩০-৪০ জনের একটি দল ভূমি কর্মকর্তার উপর হামলা চালায়। এতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিএম ইমরুল কায়েস গুরুতর আহত হন। এ সময় ভূমি কর্মকর্তার নিরাপত্তা কর্মী কলিন্স এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়।
পরে এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান সামসুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করে।
এর আগে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে রোববার বেলা ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা পরিষদের সামনে একটি মানববন্ধন করা হয়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড় অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।