ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের অসংগতি এবং অকার্যকারিতার কথা বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু একটি ধর্ম নিরপেক্ষ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সংযোজন করা হয়। ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শ ধারন করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকার সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ টায় তাঁর সচিবালয় কার্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৮১ তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদান বিতরনে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। এছাড়া শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা -২০১৯ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ট্রাস্টের সদস্যগণ আগামী ১১ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১৮ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এর সহিত সৌজন্য সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে আগামী ১৭ই মে একটি শান্তি র্যা লি বের করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি বাসন্তী চাকমা, এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান সু্প্ত ভূষণ বড়ুয়া, ট্রাস্টি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনিছুর রহমান, ট্রাস্টি দয়াল কুমার বড়ুয়া, দীপক বিকাশ চাকমা, মং কয্ চং চৌধুরী, খে মংলা রাখাইন, দীপংকর বড়ুয়া, ডালিম কুমার বড়ুয়া অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম সভায় অংশগ্রহণ করায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।