বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পাক সং ওপ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যে মানব সম্পদ ও উন্নয়নের উপাদান রয়েছে তা দিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। আমি যশোরে যে মানব সম্পদ দেখেছি তারাও এ স্থানটির অর্থনৈতিক ভীত মজবুত করতে পারেন।
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (উত্তর কোরিয়া) প্রতিষ্ঠাতা ও মহান নেতা কমরেড কিম ইল সুং-এর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জুচে আইডিয়ার উপদেষ্টা প্রফেসর ইসরারুল হক’র সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জুচে আইডিয়ার সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা হারুণ অর রশিদ, মোস্তাফিজুর রহমান কাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘জুচে আইডিয়া’র প্রবক্তা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (উত্তর কোরিয়া) প্রতিষ্ঠাতা ও মহান নেতা কমরেড কিম ইল সুং বিশ্ব স্বাধীনতা বিনির্মাণে তাঁর সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন। ‘জুচে আইডিয়া’র মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন স্বাধীনতাকামী মানুষের অন্তরে।’
উল্লেখ্য, সমাজতান্ত্রিক কোরিয়ার প্রধান নেতা কমরেড কিম ইল সুং ১৯৯৪ সালের ৮ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। বিপ্লবে নেতৃত্বদানসহ ১৯৪৮ সাল থেকে তিনি সমাজতান্ত্রিক কোরিয়া, কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বদান করেন এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক ভ‚মিকা পালন করেন। তাঁর চিন্তা ও মতামত ‘জুচে আইডিয়া’ হিসেবে সুবিদিত।