ফুঁসছে সুরমা-! পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে দ্রুত বাড়ছে পানি। ইতিমধ্যেই ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে থাকলেও পানি বাড়ছে খুব দ্রুত। এদিকে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি নদী মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিও দ্রুত বাড়ছে। পানি উন্নয়নবোর্ড সূত্র জানিয়েছে এসব তথ্য।
শুত্রুবার সকাল ছাতক পর সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিন সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫, ৯টায় ৪০, ১২টায় ৪৩ ও বিকেল ৩টায় ৪৫ সেন্টিমিটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। ছাতক সুরমা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও অবস্থা অনেকটা ছুঁইছুঁই। রাতে এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপদ সীমার উপর দিয়ে উপর প্রবাহিত হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ ছাতক সড়কের দু ফুট পানি নিচে তলিয়ে গেছে যে কোন সময় সারাদেশে সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসি। সুরমা নদীর অন্যান্য পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টদের আশংকা, সকালে মধ্যেই দুটি নদী একাধিক পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাবে।
জানা গেছে,ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অধশতাধিক পাকা রাস্তা পানি নিচে তলিয়ে যাবার কারনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে বলে উপজেলার একাধিক জনপ্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানান।
উপজেলার ভাইন্স চেয়ারম্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন বন্যা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৩টি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়েছে। ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে, উত্তর খুরমা, দক্ষিন, খুরমা, ছাতকসদর, নোয়ারাই, ইসলামপুর, কালারুকা, ছৈলাআফজলাবাদ, সৈদেরগাও, দোলারবাজার, ভাতগাও চরমহল্লা জাউয়াবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের অধশতাধিক সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে উপজেলার মহিলা ভাইন্স চেয়ারম্যান লিপি বেগম জানান,শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সমাজসেবক সদরুল আমিন সুহান জানান,৩০হাজার কৃষক আমন ইরি চারা তলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকদের চারা নষ্ট হওয়া ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে।
এছাড়া নৌকার অভাবে বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। গুরুত্ব পুর্ন রাস্তা গুলোতে আলম দাহার গাও,বুড়াইর গন্ধব পুর,বঙ্গবন্ধু সড়ক,মুক্তিগাঁও সড়ক,সহ অধশতাধিক রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে জনসাধারন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে এ পর্যন্ত প্রায় সারাদিন থেমে থেমে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে উজানে ভারতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। আর তাই সুরমা পানি দ্রুত বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে
এদিকে উপজেলার মহিলা ভাইন্স চেয়ারম্যান লিপি বেগম জানান,শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সমাজসেবক সদরুল আমিন সুহান জানান,৩০হাজার কৃষক আমন ইরি চারা তলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকদের চারা নষ্ট হওয়া ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। এছাড়া নৌকার অভাবে বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। গুরুত্ব পুর্ন রাস্তা গুলোতে আলম দাহার গাও,বুড়াইর গন্ধব পুর,বঙ্গবন্ধু সড়ক,মুক্তিগাঁও সড়কসহ অধশতাধিক রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে জনসাধারন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে এ পর্যন্ত প্রায় সারাদিন থেমে থেমে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে উজানে ভারতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। আর তাই সুরমা পানি দ্রুত বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে।