ছাতকে গ্রামীণ ব্যাংকে গ্রাহকদের কিস্তির প্রায় বিশ লাখ টাকা লুটপাটের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ থেকে দুই সদস্য একটি অডিট টিম বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রগুলোতে অনিয়ম লুটপাট ও আত্নৎসাতের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন।
তারা মাঠে গিয়ে গ্রাহকদের কিস্তির টাকা লুটপাটের ঘটনায় দুজন কর্মকতা জড়িত থাকার প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছেন।
এ শাখায় ১০টি কেন্দ্রে ৬শতাধিক গ্রাহকদের কিস্তির প্রায় ২০লাখ টাকার গড় মিল নিয়ে অডিট টিম এখন মাঠে গ্রামে গ্রামে কাজ করছেন। ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ গ্রামীণ ব্যাংক শাখার কিস্তির আদায়কৃত মাঠকমী আশীষ রায়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে কিস্তি প্রদানকারি গ্রাহকরা।
জানা গেছে ,তকিপুর, গোবিন্দনগর,দশঘর ,মৈশাপুর ,নুরুল্লাপুরসহ ১০টি কেন্দ্র কিস্তি আদায়ে গড় মিল রয়েছে। ১০টি কেন্দ্রে প্রায় কোটি টাকা ঋণ গ্রাহকদের মাঝে প্রদান করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এসব কেন্দ্র থেকে আশীষ রায় দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে দুইশতাধিক গ্রাহকদের কিস্তি টাকা গ্রামীণ ব্যাংক শাখা জমা না দিয়ে তার পকেট রেখে আসছে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে কিস্তি পরিশোধকৃত পাস বইয়ে টাকা আদায়ে স্বাক্ষর থাকলে ও ব্যাংকে হিসাব মিলছে না। এ নিয়ে গত বৃস্পতিবার সকালে কিস্তি পরিশোধকৃত গ্রাহকরা অডিট টিমে কাছে পাস বই জমা দেন। এ পাস বইয়ে সঙ্গে ব্যাংক শাখা রেজিষ্টারে ব্যাপক গড় মিল ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে মাঠকমী আশীষ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কিস্তির টাকা লুটপাটের ঘটনাটি প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমি আত্নসাত করেনি। ব্যাংক শাখার ম্যানজারের কাছে জমা দেয়া পর তিনি আদায়কৃত জমা না দিয়ে আত্নসাত করেছেন।
এ ব্যাপারে গ্রামীন ব্যাংক শাখার ম্যানজার এবাদুর হোসেন জানান, লুটপাটে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আশীষ রায় দীর্ঘ তিন মাস ধরে কিস্তির টাকা গ্রাহকদের কাছে পরিশোধ করে ব্যাংক শাখায় টাকা জমা না দিয়ে তার পকেট রেখে আত্নসাত করছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে অডিট কর্মকতা আনোয়ার হোসেন জানান, আশীষ রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এসব অভিযোগ দু’জন কর্মকতা জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তদন্তে সত্যতা মিলেছে।