muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়া যেতে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছে ১৬০০ শরণার্থী

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৬০০ শরণার্থী বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর পাড়ি দিয়েছে। বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে সাগর পাড়ি দেওয়া এসব মানুষের গন্তব্য ছিলো মালয়েশিয়া। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১৫ সালের পর গত দুই বছর ধরে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা আবারও শুরু হয়েছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই যাত্রা আরও বেশি প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ১৮ মাসের মধ্যে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় প্রতি ৬৯ জনের মধ্যে একজন মারা গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে। অথচ ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিলো প্রতি ৮১ জনে একজন।

ব্যাংককে প্রকাশিত ২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিগত বছরগুলোতে অধিকাংশ মৃত্যুর জন্য পাচারকারীদের প্রহার, বন্দুকের গুলি, খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ না করাকে দায়ী করা হতো। তবে ২০১৮ সাল থেকে অধিকাংশ মৃত্যু বা নিখোঁজের কারণ হচ্ছে সাগরে নৌকার ডুবে যাওয়া।’

এতে আরো বলা হয়েছে, শতাংশের হারে বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি নারী ও শিশু ঝুঁকিপূর্ণ সফরে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে অধিকাংশ সফরকারী ছিলো পুরুষ। অথচ সেই তুলনায় ২০১৮ সালে সফরকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ নারী ও শিশু। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই সময়ে সমুদ্র পাড়ি দিতে ব্যবহার করা নৌকার আকারও বেশ ছোট। ২০১৫ সালে পাচারকারীরা এক থেকে তিন হাজার লোক বহনের জন্য কার্গো নৌকা বা বড় আকারের মাছ ধরার নৌকা ব্যবহার করতো। ২০১৮ সালে  স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগৃহীত ছোট আকারের মাছ ধরার নৌকায় ২০ থেকে ১০০ জন শরণার্থীকে পাচার করা হয়।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, এই বছরে পেশাদার পাচারকারীরা ফিরে এসেছে। তারা প্রতিবার যাত্রার জন্য ২০০ জন লোক বহনে সক্ষম নৌকা ব্যবহার করেছে। গন্তব্য ও নৌকার আকার বুঝে শরণার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার থেকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত আদায় করেছে পাচারকারীরা।

Tags: