ময়মনসিংহের ভালুকায় সওজের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। সঠিক মাপ নির্ধারন করে স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ হয়নি স্থায়ী স্থাপনা। (২৭ জানুয়ারি) সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দিনব্যাপি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কের ময়মনসিংহের সিমান্তনাসির গ্লাস হতে সিডষ্টোর বাজার পর্যন্ত সড়ক ও জনপদের রাস্তার দু’পাশের জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সওজে’র ঢাকা বিভাগের এষ্ট্যাট এন্ড ল’ অফিসার নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মুঞ্জুরুল ইসলাম।
জানাযায়, ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট নিরসনের জন্যই সড়কের দুই পাশে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে এর পূর্বে একাধিকবার সড়ক ও জনপদের রাস্তা দখলকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও তারা নিজেরা সড়ক ও জনপদের রাস্তা ছেড়ে না দেয়ায় সর্বশেষ এই অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ, ময়মনসিংহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের এক্সেটিব ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদুজ্জামান, উচ্ছেদ অভিযানে ময়মনসিংহ জেলা সড়ক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ভালুকার দায়িত্বে কর্মরত সাব ডিভিশন ইন্জিনিয়ার মীর আব্দুল মান্নান, ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের সার্ভেয়ার মানিক সাহা।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মুঞ্জুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমরা আপাদত ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি,পরবর্তিতে পর্যায় ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং এ অভিযান অব্যহত থাকবে উচ্ছেদ অভিযানের আগে তাদেরকে সতর্কিকরণ নোটিশ প্রদান ও মাইকিং করা হয়েছিল। এর পরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি তাদের স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও ভালুকা আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন। এই উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে কিছু কিছু মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, অভিযানটি নিরেপক্ষ দৃষ্টি কোণ থেকে করা হচ্ছে না। কোথাও-কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে! আবার কোথাও-কোথাও তাদের দেয়া চিহ্নও মুছেদিয়ে তাদের স্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে।
এ অভিযান নিয়ে কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় জনগন সড়ক ও জনপথ বিভাগের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিভিন্ন মহলে।