ছাতকে প্রাচীনতম জলধারা খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নিমানের কাজ প্রশাসন বন্ধ করে দেয়ার ২ ঘন্টা পর আবারো স্থাপনার কাজ করেছে।
আজ (সোমবার) সকালে ছাতক উপজেলার সহকারি (ভুমি) কমিশনার তাপস সীল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে খালের উপর স্থাপনার নিমান কাজ সকাল ১১টার সময় বন্ধ করে দেয়ার ২ ঘন্টা পর আবারো শুরু করেছে ভুমিখেকোরা। এনিয়ে আবারো গ্রামবাসিদের দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দগাও ইউনিয়নের রাধানগর মৌজার ৪০৬ নং জেল এল এক নম্বার খতিয়ানে ২হাজার ২শ’১২ নং দাগে জামাল খালি জলধারা সরকারি খালের উপর অবৈধ স্থাপনা করার ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি গ্রামবাসীরা জলধারা জবর-দখলকারিদের হাত থেকে রক্ষা পেতে খাল দখলকে উচ্ছেদ করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার বিলপার গ্রামের পক্ষে মৃত হাজি আঞ্জব আলীর পুত্র আজম আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের পুত্র আবু তাহের, জসিম উদ্দিন, বাবুল মিয়া, আব্দুল মতিন, ফিরোজ আলী, সিতাবুর রহমান ও রজব আলী সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারী বিকালে থানা পুলিশ দারোগা ওসমান ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের নামে সাইন বোর্ড বসিয়ে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নিমানের কাজ বন্ধ করে দেয়ার একদিন পরই স্থাপনার কাজ করেন প্রভাবশালী চক্র। এদিকে বাচাও নদী বাচাও মানুষ বাচাও দেশ শ্লোগানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে নদী কিংবা নদী তীরবর্তী জলধারা খাল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সু-নির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পর কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন নিচ্ছে না বলে গ্রামবাসি অভিযোগ করেন।
স্থানীয় জাহিদপুর ভূমি অফিস ভূমি কর্মকর্তা ও সাভেয়ার গত ২৫ জানুয়ারি সীমানা নিধারন করে সরকারি ১ খতিয়ানে প্রাচীনতম জলধারা জামাল খাল অবৈধ ৮জন দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস সীল আসার সংবাদ পেয়েই অবৈধ স্থাপনার চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস সীল জানান,খালের উপর অবৈধভাবে স্থাপনা নিমানের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ স্থাপনাকারীদের কোন ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।