muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আবহাওয়া ও জলবায়ু

বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে ‘আম্ফান’

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আগামী বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার পর যেকোনো সময় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে এ ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

সংস্থাটি বলছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরের মধ্যে যেকোনো সময় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গেও এটি আঘাত হানতে পারে।

সংস্থাটি আরও বলছে, এখন আম্ফান কার্যত একই এলাকায় স্থির থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত আছে।  রোববার (১৭ মে) রাতে এটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সোম ও মঙ্গলবার আরও গতি সঞ্চার করে বুধবার এটি আঘাত হানতে পারে।  তবে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।  কারণ অনেক সময় ঘূর্ণিঝড় তার শক্তি হারিয়ে ফলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আম্ফানের শক্তি এখনো ক্যাটাগরি-১ এ রয়েছে।  রাতের মধ্যে ক্যাটাগরি-২ এ পরিণত হতে পারে।  এটি উত্তর- উত্তর  ‍পূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।  সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

Tags: