muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ

করোনাভাইরাস সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি স্তিমিত হয়ে পড়লেও দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি। তাদের ভাষ্য, ২০২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার এডিবি’র এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২০ সাপ্লিমেন্টের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৫ শতাংশ; আর ২০২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে ৭.৫ শতাংশ।

এডিবি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতেও বড় ধরনের ভাটা পড়লেও পরের অর্থবছরেই তা পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে ২০২১ অর্থ বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বেড়ে পৌঁছাবে ৭.৫ শতাংশে। প্রবৃদ্ধি বাড়ার দ্রুততর এই ধারা অব্যাহত থাকবে বছরের পরের প্রান্তিকগুলোতেও।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যখন করোনা মহামারি তীব্র আকার ধারণ করে তারপর থেকে তিন মাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে স্বাভাবিক করার সময় ধরে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সরকারের সংযমী কার্যক্রম, আর্থিক প্রণোদনা ব্যবস্থার প্রভাবগুলোকেও বিবেচনা করে করা হয়েছে বলে এডিবি’র এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, “২০২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এক শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পর কভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে ২০২১ অর্থবছরে এটা পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

“তবে এই মহামারি মোকাবিলার ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর ২০২১ অর্থ বছরের পূর্বাভাস অনেকটাই নির্ভর আগামী মাসগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ওঠার পরিসরের ওপর।”

এদিকে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে থাকবে বলে এডিবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে ২০২০ অর্থবছরের শেষ তিন মাসে খরচ, উৎপাদন ও বিনিয়োগ তীব্র হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা সংকটের কারণে রপ্তানি আয়ও দ্রুত হ্রাস পায়। ২০২০ সালের জুন থেকে সরকার ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Tags: