সিরাজগঞ্জের তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আতাউর রহমান, এনায়েতপুরের ওসি মোল্লাহ মাসুদ রানা ও চৌহালী থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস।
তাদের মধ্যে এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর থানায় দায়িত্বরত দুই ওসিকে অদল-বদল করা হয়েছে। আর চৌহালীর রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাসকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলার ভেতরেই বদলি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের বদলির বিষয়টি কার্যকর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ আছে, সম্প্রতি বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালামের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে অনৈতিক প্রভাবে শ্রমিক সাদ্দাম হোসেনকে মারধর করে থানায় ধরে আনেন শাহজাদপুরের ওসি আতাউর রহমান। এর প্রতিবাদে ওসি আতাউর রহমানের অপসারণের দাবিতে উত্তরবঙ্গ ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক নেতারা বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ও পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন।
এ ছাড়া গত ৪ মাসে বেশ কিছু ঘটনায় গ্রামের পাঁচজন সাধারণ মানুষ নিহত হন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও প্রকৃত আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। এই ঘটনায় ওসি আতাউর রহমানের পুলিশিং দক্ষতা নিয়েও বিভিন্ন ফোরামে বারবার আলোচনা হয়।
এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লাহ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে করোনাকালে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে। বিভাগীয় তদন্ত হলেও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার শাস্তির বিষয়টি মানবিক ও শিথিল করে দেখা হয়।
এ ছাড়া চৌহালীর চরাঞ্চলে অবাধে মাদক কেনাবেচার বিষয়ে সম্প্রতি স্থানীয় এমপির কাছে পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযানের বিষয়ে আক্ষেপ করেন স্থানীয়রা। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়েও স্থানীয় এমপির বিরাগভাজন হন ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস।
করোনাকালে নদী ভাঙনের অজুহাতে স্থানীয় দুজন ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি রাস্তায় সওজের শতাধিক গাছ কাটেন। গাছ চুরির ঘটনায় তদন্তের নামে গড়িমসি ও কালক্ষেপণ করেন ওসি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘যেহেতু তিনজনই দায়িত্বপালন কালে নিজ নিজ কর্মস্থলে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছেন, তাই আপাতত তাদের জেলার মধ্যেই বদলি করা হলো। এ আদেশ পুলিশের প্রতি স্থানীয় জনসাধারণের অবিচল আস্থা তৈরিতে রুটিন বদলি।’