muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সরিষাবাড়ীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ‘আ.লীগের হামলা’

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডি থানায় জিডি করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ আনন্দ মিছিল বের করে। এতে পুলিশ বাধা দেয়।

এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা ও সংঘর্ষে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

হামলাকারীরা সরকার দলের দুটি গ্রুপ বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ।

আহতরা হলেন-পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই শফিউল আলম সোহাগ, সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল রুকুজ্জামান ও সোলাইমান। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলো- মশিউর রহমান মোর্শেদ ও বিদ্যুৎ। শুক্রবার সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, যমুনা সার কারখানা এলাকা আধিপত্য নিয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন।

এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থকরা বৃহস্পতিবার রাতভর এলাকায় আতশবাজি ও আনন্দ মিছিল করেন। এরপর শুক্রবার সকালেও রফিকের সমর্থকরা যমুনা সার কারখানা এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করে এবং মহড়া দেয়।

এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে রফিকের সমর্থক ওই দুইজনকে আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায় আ.লীগ সমর্থকরা। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে হামলাকারীরা। আ.লীগ সমর্থকদের ছোড়া ইটপাটকেলে ৭ জন পুলিশ আহত হন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এলাকায় কিছু ঘটলেই কী আমার লোকজন? আমার লোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আক্রমণ করবে, তা আমি জানব না? আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, একাধিক মামলার আসামি মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মোর্শেদকে আটক করা হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ বলেন, যমুনা সার কারখানা এলাকায় প্রতিদিন হাজারও শ্রমিক কাজ করেন। এখানে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সরকার দলের দুটি গ্রুপে সৃষ্টি হওয়া বিরোধ ও উত্তেজনা বাড়ছে। শুক্রবার সকালে এলাকা দখল নিতে ওই গ্রুপটি বের হয়। এ সময় তিন মামলার আসামি মোর্শেদকে গ্রেফতার করলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের আসামি করে আরও একটি মামলা হবে বলে জানান তিনি।

Tags: