muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

সন্তানের জন্য দুধ আনা হলো না সজীবের

সন্তানের জন্য দুধ আনা হলো না সজীবের

সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালিকাপ্রসাদ বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ডাকাতের কবলে পরে ৪ সন্তানের জনক ব্যবসায়ী সজীব মিয়া (৩৫ ) নিহত হয়েছেন। ১৩ মে (শনিবার) রাত ১০ টায় পথচারীরা থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইসিজি পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আজরাফ মাহদী তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে তিনি জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এটি হত্যা কি না।

নিহত সজীব মিয়া নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া সাত পাড়া গ্রামের সিকান্দার বাড়ির মুজিবুর রহমান ওরফে গোলাপ মাস্টারের ছেলে বলে জানা গেছে। সে পেশায় ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর কাদির সরকার নদীর ঘাটে স্টীলের নৌকা ও জাহাজ মেরামতের ওয়াকশর্প মালিক। নিহতের স্বজনদের দাবী বিসিক শিল্প নগরীর কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ডাকাত দল রশি দিয়ে গলায় পেচিঁয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় । ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো -ল ২৬-৩৮০২ ব্যবসায়ী সজীব মিয়া তার অসুস্থ পিতাকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করে ব্যবসায়ী কাজে কিশোরগঞ্জ নিকলীর উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়। বেলা ৩ টা দিকে তার স্ত্রী সন্তানের দুধ আনার জন্য ফোন দিলে এ সময় ফোনের ওপাশ থেকে আত্ম-চিৎকার শুনা যায় বলে জানায় নিহতের স্ত্রী স্বর্ণা বেগম। ৮ বছর দাম্পত্য জীবনের ঘর -সংসারে ৪ টি সন্তান রয়েছে তাদের। তারা ভৈরব পৌর শহরস্থ নিউ টাউন পল্লী মঙ্গল অফিসের বিল্ডিংয়ে দীর্ঘ দিন যাবত ভাড়া থাকেন । নিহত সজীবের মৃত্যু সংবাদ শুনে তার বন্ধু -বান্ধব আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মূহুর্তে ভারী হয়ে উঠে সেইস্থানের বাতাস।

এ ব্যাপারে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, নিহতের শরীলে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই তবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজ্ঞান অবস্থায় আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Tags: