২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবার একটি সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ঘনীভূত হল সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য।
স্বাভাবিক না বিষক্রিয়ায় মৃত্যু তা এখনাে স্পষ্ট জানাতে চায়নি বন দপ্তর। বৃহস্পতিবার বসিরহাট রেঞ্জ অফিসের ঝিলা জঙ্গলের মধ্যে নদীতে প্রথম সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে তারই এক কিলোমিটারের মধ্যে বাগনা জঙ্গলে ঝোপের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আরাে একটি পুরুষ বাঘের মৃতদেহ। তারও বয়স দু’বছরের কাছাকাছি। এই দু’টি বাঘই আবার যমজ ছিল বলে জানা গেছে। এখানেই রহস্য।
যে সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক বাঘ দু’টির মৃত্যু হয়েছে, তাদের আরাে একটি সহোদর রয়েছে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। তারও কী একই পরিণতি হবে? ঘটনার কারণ নিয়ে মুখে কুলুপ দিলেও এই বিষয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বন দপ্তরের কর্মকর্তারা। যে দু’টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমটির ময়নাতদন্তে পেটে মিলেছে স্রেফ কাদা-পানি। গায়ে কোনাে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়নি এটা ধরে নিলেও, অন্য কিছু তার মৃত্যুর কারণ কি না, তারও জবাব দিতে নারাজ বন দপ্তর।
এনিয়ে মাস দুয়েকের মধ্যে সব মিলিয়ে তিনটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল প্রায় একই এলাকায়। বেশ কয়েকমাস আগে নিজের তিনটি অপ্রাপ্তবয়স্ক শাবক নিয়ে ওই জঙ্গলেই ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল তাদের মায়েদের। বয়স বাড়তে স্বাভাবিক নিয়মেই শাবকদের ছেড়ে চলে যায় তাদের মা। তার পর থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে মাকে হারিয়ে সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক বাঘ দু’টি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই মারা গেল কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু জানা যাচ্ছে না। চোরা শিকারিদের নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, কর্মকর্তারা জানাচ্ছেেন, সেক্ষেত্রে দু’টি বাঘেরই অঙ্গহানি হওয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তেমনটাও হয়নি। অন্যদিকে, দু’দিনের মধ্যে জঙ্গলে জীবিত অন্য সহোদরটিরও খোঁজ না মেলায় রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য বেশ চাপেই রেখেছে বন দপ্তরকে।