muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

রাজশাহীতে চুরি যাওয়া নবজাতক উদ্ধার, চিকিৎসকপত্নী আটক

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,

রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া নগর মাতৃসদন থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ৮ দিন পর আজ শুক্রবার দুপুরে নগরীর রামচন্দ্রপুর বাশার রোডের ৩২২/এ নম্বর বাড়ি থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় চুরি করে নিয়ে যাওয়া নারী শাহীন আক্তার ওরফে সুভ্রা ওরফে পলিকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।

আটক সুভ্রা নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজশাহীর আলুপট্টি ক্যাম্পাসের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। তার স্বামীর নাম ডা. আক্তারুজ্জামান। তাদের স্থায়ী বাড়ি জেলার বাগমারা উপজেলায়। তবে এই দম্পতি বাশার রোড এলাকার সপ্তর্ষি নামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) নামে এনজিও পরিচালিত একটি মাতৃসদন থেকে জন্মের মাত্র ৬ ঘণ্টা পর নবজাতকটি চুরি হয়।

ওই নবজাতকের পারিবারিক সূত্রে আরো জানা গেছে, আটক সুভ্রা নিজেকে একজন এনজিওকর্মী পরিচয় দিয়ে গর্ভকালীন সময় থেকেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নবজাতকটির মা মুক্তি খাতুনের (১৮) সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। আর মুক্তিকে নানা পরামর্শ দিতেন নগরীর ডাঁশমারী এলাকার নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠকর্মী তহুরা খাতুন। মুক্তির প্রসব বেদনা উঠলে গত ১৯ জানুয়ারী সকাল ১০টার দিকে তহুরা ও সুভ্রা তাকে নওদাপাড়া এলাকার ওই মাতৃসদনে ভর্তি করেন। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। সুভ্রা তার চিকিৎসার খরচ বাবদ তিন হাজার টাকা দেন। এছাড়া বাচ্চার জন্য একটি তোয়ালে, কম্বল ও নতুন পোশাক কিনে দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কৌশলে তিনি বাচ্চাটি নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মুক্তির মা রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমির জাফর জানান, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হলো। বাচ্চাটিকে আপাতত শাহমখদুম থানার ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তাকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২৭ -০১-২০১৭ইং  / মো: হাছিব

Tags: