muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

করিমগঞ্জ

করিমগঞ্জ পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন

করিমগঞ্জ পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অর্ধশতক পর আমাদের প্রত্যাশার অনেক কিছু পূরণ হয়েছে। বর্তমানে দেশে জলে স্থলে, অন্তরীক্ষে পাতালে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশে বড় বড় স্থাপনা হচ্ছে। বিদ্যুতের ঘাটতি নাই, খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ গণগবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত করিমগঞ্জ পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় এ প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

এসময় প্রাপ্তির পাশাপাশি কিছু হতাশার কথাও জানান তিনি। যে চেতনার উপর ভর করে ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলণ করেছিলাম তার কিছু কিছু জায়গায় আজও অতৃপ্তি রয়েছে। যে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বে ৭১’এ এসে পূর্ণতা লাভ করে। কিন্তু মুক্তির ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের সাংস্কৃতিক মুক্তি আসেনি। বর্তমানে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গেলে নেতার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়, এটা কেন লাগবে- এটা তো পাকিস্তান আমলেও লাগত না। এমন বৈষম্য আমাদেরকে খুবই পীড়া দেয়।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অপ যা কিছু হচ্ছে যেমন ঘুষ-দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ঋণখেলাপি, জনগণের টাকা আত্মসাৎ এই সমস্ত কাজ গুলো যদি না হত, তাহলে আমাদের আরও বেশি উন্নতি হত বলে বিশ্বাস করি। উত্তরণের উপায় হিসাবে তিনি বলেন, যত শীঘ্রই সম্ভব এ অপকর্মগুলি থেকে আমদের বিরত থাকতে হবে। তাহলেই আমার স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ করবো।

প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালের ১১ মার্চ তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে করিমগঞ্জ মধ্যবাজারে ছাত্রলীগের অফিসে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলণ করেন। পতাকা উত্তোলণ করেছিলেন তৎকালীন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ।

এ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে দিবসটিকে ঘিরে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির অানুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ।

এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মুসলেহ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা আক্তার সাথী, করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্বপন মাতুব্বর, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও কন্ঠশীলনের একঝাঁক শিশু কিশোর।

দুপুরে নূরুল হক জুনাইদ এর সঞ্চালণায় মুক্তিযুদ্ধ গণগবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবালের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মেহেদী উল আলম, কবি ও সাহিত্যিক আলী আকবর গেন্দু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংস্কৃতিক কর্মী আবু সুফিয়ান, সংস্কৃতি কর্মী হাসান মাহমুদ রনক, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ এতে অংশ গ্রহণ করেন।

Tags: