জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের ব্যাপারে সরকার নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘এই কমিশন হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ এটি অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা একসঙ্গে বসে কমিশনের কর্মপরিধি নির্ধারণের পাশাপাশি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেবেন। খুব শিগগিরই আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব এবং পরে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’
২১ আগস্ট মামলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। নিশ্চয়ই তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা এবং মানি লন্ডারিং মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় কার্যকরের চেষ্টা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির বিষয়ে দলটি আন্তর্জাতিক মহলের শরণাপন্ন হবে- এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি আসলে বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। যখনই তারা ক্ষমতায় গেছে তখনই তারা বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ কাজ করেছে। তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে। তারা ইনডেমনিটি অরডিনান্স করেছে। আজকেও তারা বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলার যে হুমকি দিচ্ছে, সেগুলো তাদের সেই রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এতিমের টাকা চুরির দায়ে আদালত দেশের প্রচলিত আইনে সাজা দিয়েছে । সরকারের এখানে কিছু করার নেই। আদালত যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই সরকার মেনে নিবে।’