সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার মায়েদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের মানুষ সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।

তিনি শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া নুরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রনেতা শওকত হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. মামুনুর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজী, থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজ খান বাদল, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা জিল্লুর রহমান জুয়েল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হুমায়ুন কবির খান, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি প্রমুখ।
দীপু মনি বলেন, সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নে দেশের মানুষ খেয়ে পড়ে ভালোভাবে বেঁচে আছে। এখন আর দেশের মানুষ না খেয়ে মরে না। এই সরকারের আমলেই বছরের শুরুতে দেশের প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই তুলে দিচ্ছেন। এই ধারবাহিকতা থেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে জাতি। শুধু তাই নয়, সরকার আপনাদের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করছেন। গত সাত বছরে বিদেশেও প্রচুর শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেই শ্রমিকরা আজ অর্থ উপার্জন করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা করছে। কিভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। আমরা চাই না দেশের কোন মানুষ পুড়ে মরুক। দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারার অধিকার কারো দেওয়া হয়নি। এটা কোন ধর্মই সমর্থন করে না। তারা আন্দোলনের নামে দেশে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা নাশকতা চাই না, আমরা আমাদের সন্তানদের ভালো ভবিষৎ চাই। তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে- এটাই আমরা চাই।
তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, পূর্বে কোন সরকারই কাগজপত্রে মায়েদের নাম দেখা যেতো না। আর এখন বর্তমান সরকার মায়েদের সম্মানে বাবার নামের পাশাপাশি মায়েদের নামও থাকতে হবে- এরূপ ব্যবস্থা করেছে। আগে মায়েরা চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করতো। কিন্তু এখন সরকার মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রত্যেক গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করেছে।